DIU-তে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা

Dhaka_International_University

শিক্ষা মানুষের পথ প্রদর্শক। এই আদর্শকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তিনি আইনের অধ্যাপক হলেও অনার্সসহ মাস্টার্স করেছেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে। এ বিষয়ে শিক্ষকতাও করেছেন তিনি। তাই তার প্রতিষ্ঠিত ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্য গুরুত্ব পেয়েছে সর্বাগ্রে।ইংরেজি ভাষা আমাদের দেশের অধিকাংশ ছাত্রের মনেই ভীতি সঞ্চার করে। তবে তাদের ইংরেজির সঙ্গে সাহিত্য জুড়ে দিলেই বিষয়টি বেশ সহনীয় হয়ে উঠে। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য পাঠ্যসূচিতে সন্নিবেশিত হয়ে আসছে গুরুত্ব সহকারে। বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে এর ব্যত্যয় ঘটেনি। দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রার শুরুতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নাম এসে যায়। তাই এখানে ইংরেজি সাহিত্যের পড়ানোর ক্ষেত্রে ভাল উদাহরণ রয়েছে।

এ বিভাগের শুরুতে নিজস্ব শিক্ষক ছাড়াও এখানে পাঠদান করেন ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিথযশা শিক্ষক ম-লী। শিক্ষকদের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর আমানউল্লাহ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহসানুল হক, প্রফেসর বি.ডব্লিউ রহমান, অধ্যাপক রেজাউর রহমান, কবি আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক ফজলুর রহমান প্রমূখ। তাদের অনেকে এখনো পাঠদান করছেন। বর্তমানে এ বিভাগে রয়েছেন মেধাবী, ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খ্যাতিমান ২০ জন পূর্ণকালীন ও খ-কালীন শিক্ষক। এ বিভাগকে আরো সমাদৃত করতে নিরলস প্রচেষ্টা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. কে.এম. মোহসীন। এ ইউনিভার্সিটিতে তিনি কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যাঁর সার্বিক সাহায্য, সহযোগীতা ও দিক নির্দেশনায় এই ইংরেজী বিভাগ উন্নতির শিখরে পৌছে যাচ্ছে তিনি হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. আমানুল্লাহ।

বর্তমানে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন। বর্তমান বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এ বিভাগে গড়ে তোলা হয়েছে একটি অত্যাধুনিক ল্যাংগুয়েজ ক্লাব। ক্লাবটি সুসজ্জিত করা হয়েছে লিসিনিং -এর জন্য। এখানে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের আই.ই.এল.টি.এস নির্ভর সিডি, অত্যাধুনিক কম্পিউটার, হেডফোন। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে প্রদর্শিত হয় ঐতিহাসিক নাটক ও সিনেমা। ম্যাকবেথ বইয়ের পাতায় পড়তে হয়, সেটা দেখানো হয় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে বিশাল পর্দায়। ফলে সাহিত্যের প্রতি শিক্ষার্থীদের অনুরাগ বাড়ে। ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরীতে কবিতা, নাটক, গল্প, উপন্যাস ও সমালোচনা বিষয়ক সাহিত্যের উপর রয়েছে কয়েক হাজার বই। কেউ এখানে একাগ্র চিত্তে বসে পড়ছে, তার মনের মত বইটি। আবার কেউবা লাইব্রেরী কার্ড দেখিয়ে তার পছন্দের বইটি নিয়ে যাচ্ছে বাসায়। এখানে ট্রাই-সেমিস্টার ভিত্তিক পাঠদান করা হয়। শিক্ষার্থীদের ইংরেজী বলার ক্ষেত্রে যে জড়তা তা দূর করার উদ্দেশ্যে স্পোকেন, ক্লাস পারফরমেন্স, গ্রুপ ডিসকাশন এবং ভিউ এক্সচেঞ্জ ইত্যাদির ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও মেধা বিকাশে নিয়মিত ডিবেটিং, উপস্থিত বক্তৃতা, রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়ে থাকে।