এখন থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য আলাদা কোনো পরীক্ষা হবে না। এসএসসি ও এইচএসসির ফলের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে। আর ভর্তির কাজ শেষ করে ১ ডিসেম্বর ক্লাস শুরু করা হবে।
এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের ১৭তম বার্ষিক অধিবেশনে এ কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ। বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ফয়জুল করিম প্রথম আলোকে এ কথা জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ। এতে ৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মুনাজ আহমেদ নূর প্রথম আলোকে বলেন, আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকেই ভর্তির নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।
অধিবেশনে উপাচার্য বলেন, ২০১৬ সালের শেষের দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে পুরস্কার দেওয়া হবে। ২০১৭ সালের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ আইটিভিত্তিক ও ২০১৮-এর মধ্যভাগ থেকে সম্পূর্ণ সেশনজটমুক্ত করা হবে।
অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১৮১ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার রাজস্ব ও ১৬৭ কোটি ৯৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার উন্নয়ন বাজেট পাস করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিনেট সভায় ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী’ এম এ বারীর নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভবন রয়েছে, সেই নাম অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তার পরিবর্তে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নামে ভবনটির নামকরণের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।