সেশন জটকে পুরোপুরি দূর করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা ১লা অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। আর ক্লাশ শুরু হবে ১লা ডিসেম্বর থেকে। ২০ মে ২০১৫ তারিখ বুধবার বাংলাদেশ ভিসি পরিষদের ২৪৩তম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট নিরসনের জন্যে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৮ সালের মধ্যভাগ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পুর্ণ সেশন জট মুক্ত হবে। ২০১৩-১৪ সেশনে থেকে যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে বা হচ্ছে তারাও কোন সেশন জট পাবে না। ২০১৮ সালের পরে আর এখন জটে থাকা শিক্ষার্থীরা থাকবেনা।
২০ মে ২০১৫ তারিখ বুধবার বিকালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ভিসিদের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় বেতন স্কেলে ভিসিদের বেতন সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে সাবকমিটি গঠন করা হয়। এতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হারুন-অর-রশিদকে আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. কামরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. ফারজানা ইসলাম, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক একেএম নূর-উন-নবী।
সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ১৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সেশনের ভর্তি পরিক্ষার সম্ভব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষার তারিখগুলো ৩০শে জুনের মধ্যে ঠিক করতে সভাতে নির্দেশ দেয়া হয়।