উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করেই অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। স্বপ্নের ক্যাম্পাসে পা রাখতে হলে কীভাবে এগোবেন? পরামর্শ দিয়েছেন ২০১৬ সালে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম—আসিফ ইকবাল
১. পড়তে হবে মনোযোগ দিয়ে
যতটুকু পড়বে, মনোযোগসহকারে পড়বে। সারা দিন পড়তে হবে এমন কোনো কথা নেই। কবে কোন বিষয়টা পড়বে, শুরুতেই সেটার একটা রুটিন করে নেওয়া ভালো।
২. প্রশ্নপদ্ধতি এবং মানবণ্টন সম্বন্ধে ধারণা
সিলেবাস এক হলেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরনে বেশ পার্থক্য আছে। প্রশ্নপদ্ধতি, মানবণ্টন, সময় ইত্যাদি সম্বন্ধে একটা স্বচ্ছ ধারণা রেখে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
৩. চোখ রাখো বিগত বছরের প্রশ্নে
বিগত বছরের বুয়েট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো অবশ্যই শুরু থেকে সমাধান করা উচিত। পুরোনো প্রশ্নগুলো দেখলে যেমন প্রশ্ন সম্পর্কে একটা ধারণা হবে, তেমনি প্রস্তুতির ফাঁকফোকরগুলোও ধরা পড়বে।
৪. পদার্থবিজ্ঞানে বেশ কিছু বই দরকার
পদার্থবিজ্ঞানের অঙ্কগুলো যেকোনো একটা বই থেকে না করে কয়েকটা বইয়ের সব অঙ্ক করতে পারলে ভালো। সূত্রের প্রমাণগুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে।
৫. গণিতে চাই চর্চা
গণিতের ক্ষেত্রে একের অধিক বই অনুসরণ না করে যেকোনো একটা বই অনুসরণ করে সব অঙ্ক করে ফেলো। যে অঙ্কগুলো তুমি পারো, সেগুলোও বারবার চর্চা করতে হবে। গণিতে ভালো করতে হলে চর্চার কোনো বিকল্প নেই।
৬. লিখে পড়ো রসায়ন
গণিতের মতো রসায়নেও যেকোনো একটা বই ভালোমতো অনুসরণ করা উচিত। বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোর নিচে দাগ দিয়ে রাখবে। আর লিখে লিখে পড়লে মনে থাকে সব থেকে বেশি। চাইলে অন্যান্য বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোও নোট করে রাখতে পারো।
৭. নিজের ‘স্টাইলে’ পড়ো
তুমি কোন বিষয়টা ভালো পারো আর কোনটা পারো না, কীভাবে পড়লে পড়া বুঝতে সুবিধা হয়—এসব তুমিই ভালো জানো। কোচিং কিংবা মডেল টেস্টের ওপর বেশি গুরুত্ব না দিয়ে নিজেকে সময় দাও। নিজেই নিজের ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করো, নিজেই নিজের পরীক্ষা নাও।
৮. সবার আগে সুস্থ থাকা
সামনের চার মাস সুস্থ থেকে পড়াশোনা করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। অসুস্থ হয়ে দুইটা দিন নষ্ট করা মানেও অনেক বড় ক্ষতি। তাই অবশ্যই শরীরের প্রতি যত্ন নেবে। খাওয়া-ঘুম বাদ দিয়ে পড়তে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যেয়ো না।
৯. বইয়ের সহায়ক ইন্টারনেট
বইয়ে সব বিষয় বিশদভাবে বলা থাকে না। কিছু বিষয় পুরোনো বই থেকে পড়ে নিতে হবে। চাইলে ইন্টারনেট থেকেও তথ্য সংগ্রহ করতে পারো। ইউটিউবে কিছু ভিডিও পাবে, যেখানে সহজ করে অনেক জটিল জিনিসও বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বই পড়তে পড়তে একঘেয়ে লাগলে সেগুলোও দেখতে পারো।
১০. আত্মবিশ্বাসী হতে হবে
সত্যি বলতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো এমন হয় যে জানা জিনিসগুলোও অনেক সময় গুলিয়ে যায়। তাই আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে বারবার প্রশ্নটা পড়তে হবে, দেখবে উত্তরটা ঠিকই মাথায় আসবে। নিজের ওপর আস্থা রেখো।