চলতি অর্থবছরে দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি করে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ করা হবে। প্রায় ৬৪ হাজার স্কুল এসব ল্যাপটপ পাবে। এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডেভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান।
রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে শনিবার এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু ল্যাপটপ নিলেই হবে না। এগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান বাজেটে ব্যাপক বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু ফল পাওয়া যাচ্ছে না। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। অন্য বিভাগের কথা বাদ দেন। আমাদের কাজ হলো অন্ধকার দূর করা। আমরা উপযুক্ত নাগরিক গড়ে তুলতে পারছি না। এ জন্য কাজ করতে হবে। শিক্ষার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নত করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়ন যাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য জঙ্গি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. হুমায়ুন খালিদ। সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইতোমধ্যে ৫ হাজার ৪৩২টি ল্যাপটপ ও ২ হাজার ৯৯৫টি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৩ হাজার ৫০৪টি স্কুলে ল্যাপটপ ও ৫ হাজার ৯৪১টি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ করা হয়েছে। ৫০ হাজার ল্যাপটপ ও ১২ হাজার প্রজেক্টর সংগ্রহ প্রক্রিয়া শিগগিরই সম্পন্ন হবে। ল্যাপটপ বিতরণের ক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল, যে সকল বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে এবং আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক রয়েছে সেব বিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আওতায় প্রায় ৬৪ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩ লাখ ৯৩ হাজার শিক্ষক, ২ কোটি ২৫ লাখ ছাত্রছাত্রী, ৫০৮টি উপজেলা শিক্ষা অফিস, ৫০৮টি উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, ৫৫টি পিটিআই (অতিরিক্ত ১২টি পিটিআই নির্মাণাধীন) ৬৪টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও ৭টি প্রাথমিক বিভাগীয় অফিসকে ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।