একেক জন একেক ভাবে সিভি তৈরি করছেন। তার মধ্যে অনেকটা হয়তো সঠিক। কিছুটা হয়তো প্রচলিত ধারণা। আবার কিছুটা ভুল। তাই জেনে নিন সিভি তৈরি করার এক ডজন কৌশল-
সিভি লম্বা নয়
অপ্রয়োজনীয় জিনিস লিখে সিভি লম্বা করবেন না। মনে রাখবেন, যেখানে চাকরির আবেদন করছেন, সেখানে আরও প্রচুর সিভি জমা পড়বে। ফলে, আপনার সিভিটি নিয়োগকারীর বিরক্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, সেটা মাথায় রাখুন। ছোট ছোট পয়েন্টে নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতাগুলো লিখুন।
পুনরাবৃত্তি নয়
কোনো একটি শব্দ বা শব্দবন্ধের পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলুন। কী ধরনের দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা আছে তা ব্যাখ্যা করার জন্য ইংরেজিতে ‘ম্যানেজড’ অথবা ‘ডেভেলপড’ দিয়ে বাক্য শুরু করতে পারেন।
মিথ্যা নয়
নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে সিভিতে কখনোই মিথ্যা কিছু লিখবেন না। আপনার যা যোগ্যতা, সেটাই যদি সিভিতে লেখা থাকে, তাহলে অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে ইন্টারভিউ দিতে পারবেন।
এক পাতার সিভি
চেষ্টা করুন এক পাতার সিভি তৈরি করার। এমন ফরম্যাট বাছুন, যাতে আপনার সমস্ত বিষয় কম কথায়, পরিচ্ছন্নভাবে তুলে ধরা যায়।
অভিজ্ঞতার তালিকা
বর্তমানে যেখানে কাজ করছেন, অভিজ্ঞতার তালিকায় সেটাই প্রথমে লিখুন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী
চাকরির বিজ্ঞপ্তিটি ভালো করে পড়ে নিন। যে ধরনের চাকরির আবেদন করছেন, সেই অনুযায়ী আপনার সিভি সাজান। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপনার কী দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেগুলো ভালোভাবে তুলে ধরার উপরে জোর দিন।
কন্ট্যাক্ট ডিটেলস
আপনার সিভি পছন্দ হলে তবেই আপনার সঙ্গে যোগাযোগের প্রশ্ন। ফলে সিভি-র একদম উপরে নিজের কন্ট্যাক্ট ডিটেলস না দিয়ে সিভির নিচে দিন।
ব্যাকরণগত ভুল
আপনার সিভি-তে যাতে কোনও ব্যাকরণগত ভুল না থাকে, সেই বিষয়ে অবশ্যই সচেতন থাকুন।
হার্ড কপি পাঠালে
যদি হার্ড কপি কোথাও পাঠান, তাহলে খেয়াল রাখুন যে কাগজে সিভি প্রিন্ট করে পাঠাচ্ছেন, সেটি একটু ভালো মানের হয়।
অনলাইনে পাঠালে
অনলাইনে সিভি পাঠালে বা কোথাও সিভির সফট কপি পাঠালে আপনার লিংকডইন প্রোফাইল, ব্লগ অথবা যে চাকরির জন্য কোনো আবেদন করছেন, সেই সংক্রান্ত কোনো প্রজেক্ট বা প্রেজেন্টেশন আপনার করা থাকলে তার লিংক সিভিতে দিয়ে দিতে পারেন। যেখানে চাকরির আবেদন করছেন, তারা প্রয়োজনে সেগুলো দেখে আপনার পেশাদারি দক্ষতা এবং আপনার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়ে যাবেন।
লক্ষ্য ও অভিজ্ঞতা
যারা ফ্রেশার, তারা সিভির একদম শুরুতে নিজেদের লক্ষ্যের কথা লিখতে পারেন। আর যাদের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারা সিভির শুরুতে নিজেদের পেশাদারি অভিজ্ঞতার একটি নির্যাস তুলে ধরতে পারেন।
শখ বা পছন্দ
অনেকেই যে পেশার জন্য আবেদন করছেন, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজের ব্যক্তিগত শখ বা পছন্দের কথা সিভিতে লেখেন। এক্ষেত্রে সত্যিই আপনার শখ এবং যে পেশার চাকরির জন্য আবেদন করছেন, তার মধ্যে মিল থাকলে ভালো, না হলেও ক্ষতি নেই। আপনার সত্যি যা করতে ভালো লাগে সেটাই লিখুন। তাতে আপনার চরিত্রের অন্য একটি দিক উঠে আসতে পারে।