প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন সেশনজট না থাকায় ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শেষ করে চাকরিতে প্রবেশের জন্য ছয়-সাত বছর সময় পায়। আমরা চাই তারা সময়মত লেখাপড়া শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করুক। এতে যুবসমাজের মেধা ও কর্মশক্তিকে জাতিগঠনের কাজে লাগিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে পারবো। এ কারণে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সরকারি ও বিরোধী দলের কয়েকজন সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এ সময় ঢাকা সফররত কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ আল-সাবাহ সংসদ কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমরের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে সেশনজট দূর করেছে। তাই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য ৩০ বছরই যথেষ্ঠ সময়। ৩০ বছরের বেশি হলে তখন বলতে হবে মধ্য বয়সীদের চাকরি দিতে হবে কেননা ৩০ বছরের পর আসলে আর কেউ যুবক থাকে না, পৌড় কিংবা মধ্যবয়সী হয়ে যায়। সরকার বেকারদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে বিনা সুদের ঋণ দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, নিজস্ব অর্থায়নে প্দ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে প্রায় ৩১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি নির্দিষ্টি সময়ের মধ্যেই আমরা পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারব।
মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহহাবের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জাজিরা প্রান্তে এপ্রোচ রোডের কাজ ৬৫ শতাংশ, মাওয়া প্রান্তে এপ্রোচ রোডের কাজ ৭৩ শতাংশ, সার্ভিস এরিয়া (২) ৭৮শতাংশ এবং মূল সেতু নির্মাণ কাজের ২১ শতাংশ অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও নদীশাসন কাজের অগ্রগতি ১৮ শতাংশ, প্রল্পটির আর্থিক অগ্রগতি ৩৪ শতাংশ।
সূত্র: সমকাল