৩১ মার্চ থেকে ৩৭তম বিসিএসের অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ৩১ মার্চ সকাল ১০টা থেকে ২ মে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। তবে শেষ দিকে বরাবরই চাপ পড়ে। অনেকে দেখা যায়, আবেদনও করতে পারেন না। কাজেই শুরুর দিকে আবেদন করে রাখলে ঝামেলা এড়ানো সম্ভব।
আবেদনের নিয়ম
আবেদন করতে হবে (bpsc.teletalk.com.bd অথবা www.bpsc.gov.bd) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। প্রথমে সাধারণ, প্রফেশনাল অথবা যৌথ (সাধারণ ও প্রফেশনাল) ক্যাডারের মধ্যে যেকোনো একটি নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তী ধাপে বিপিএসসি-১ ফরমের প্রথম অংশে নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, কোটা, বর্তমান কাজের ধরন, বৈবাহিক অবস্থা, জাতীয়তা, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, যোগাযোগের নম্বর এবং পরীক্ষার কেন্দ্রের ঘর পূরণ করতে হবে। দ্বিতীয় অংশে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং তৃতীয় অংশে ক্যাডার তালিকার পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরমের নির্ধারিত স্থানে প্রার্থীর ৩০০ বাই ৩০০ পিঙ্লে ও সর্বোচ্চ ১০০ কিলোবাইট আকারের রঙিন
ছবি এবং ৩০০ বাই ৮০ পিঙ্লে ও সর্বোচ্চ ৬০ কিলোবাইট আকারের স্ক্যান করা স্বাক্ষর আপলোড করতে হবে। আবেদন ফরম পূরণের পর Application Preview তে সব তথ্য ঠিক আছে কি না যাচাই করতে হবে এবং Validation Code দিয়ে আবেদন সাবমিট করতে হবে। Applicant’s Copy ডাউনলোড বা প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রাপ্ত User ID ব্যবহার করে টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে। প্রথমে BCS<space>User ID লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে প্রাপ্ত পিন নম্বরসহ BCS<space>yes<space>pin লিখে আবার ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। পরীক্ষার ফির সমপরিমাণ টাকা কেটে ফিরতি এসএমএসে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড জানিয়ে দেওয়া হবে, যা পরবর্তী সময়ে প্রবেশপত্র ডাউনলোডসহ বিভিন্ন কাজে লাগবে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি এক হাজার ২২৬টি শূন্য পদের জন্য ৩৭তম বিসিএসের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছরের সম্মান ডিগ্রি থাকলেই আবেদন করা যাবে। বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর। সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ক্ষেত্রে শুধু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বেলায় বয়স ৩২ হলেও আবেদন করা যাবে।