সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ঢাকার শাহজাহানপুর ও মিরপুরে আবাসনের ব্যবস্থা হিসেবে ৭৪৪টি ফ্যাট করা হচ্ছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৫ কোটি টাকা। প্রকল্প দু’টি এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে ঢাকায় কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের ৪০ শতাংশের আবাসন নিশ্চিত করা হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
গণপূর্তের তথ্য থেকে জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে বসবাসরত সরকারি কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা অত্যন্ত প্রকট। আবাসন পরিদফতর এই সঙ্কটের সমাধান করতে পারছে না। আবাসন পরিদফতরের হিসাব অনুযায়ী বতর্মানে ঢাকায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯১৫ জন। এর মধ্যে বাসা, ফ্যাট বা বাড়ির সংখ্যা মাত্র ১৩ হাজার ৫২টি, যা প্রয়োজনের তুলনায় ৯ শতাংশ মাত্র। ফলে যারা সরকারি আবাসনের সুবিধাবঞ্চিত তাদেরকে বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়ি ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে।
গণপূর্তের তথ্য থেকে জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে বসবাসরত সরকারি কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা অত্যন্ত প্রকট। আবাসন পরিদফতর এই সঙ্কটের সমাধান করতে পারছে না। আবাসন পরিদফতরের হিসাব অনুযায়ী বতর্মানে ঢাকায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯১৫ জন। এর মধ্যে বাসা, ফ্যাট বা বাড়ির সংখ্যা মাত্র ১৩ হাজার ৫২টি, যা প্রয়োজনের তুলনায় ৯ শতাংশ মাত্র। ফলে যারা সরকারি আবাসনের সুবিধাবঞ্চিত তাদেরকে বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়ি ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৭ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ বা ১৬ হাজার ৯৬৮টি এবং ২০১৯ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বা ১৮ হাজার ২৭৬টি ফ্যাট নির্মাণের লক্ষ্য রয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে যেসব সরকারি খাসজমি বা পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে সেগুলোকে প্রকল্পের আওতায় এনে সরকারি কর্মচারীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, ঢাকার মিরপুরে গণপূর্ত অধিদফতরের ই/এম-৮ স্টাফ কোয়ার্টার কলোনির মধ্যে কিছু তিনতলা, একতলা, সেমিপাকা ও টিন শেড ভবন রয়েছে। এগুলোতে ১৫০ জন কর্মচারী বাস করছেন। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের অনেক অফিস ও আবাসিক কার্যক্রম সরকারি জমিতে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু এসব স্থানে গণপূর্ত অধিদফতরের কার্যক্রম পরিচালনার কথা ছিল।
এ অবস্থায় গণপূর্ত অধিদফতরের স্টাফ কোয়ার্টারের ২ দশমিক ৪০ একর জায়গায় দু’টি ১৩ তলা ভবনে প্রতিটি ৮০০ বর্গফুটের ১৫০টি ফ্যাট, একটি ১৩ তলা ভবনে প্রতিটি ৬৫০ বর্গফুটের ৭২টি ফ্যাট এবং একটি ১২ তলা ভবনে এক হাজার ফুট আয়তনের ৬৬টি ফ্যাট অর্থাৎ মোট ২৮৮টি ফ্যাট নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের জুনে এই ফ্যাট নির্মাণের কাজ শেষ করার কথা।
এ ছাড়া মালিবাগের শাহজাহানপুরে ৪৫৬টি ফ্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আবুজর গিফারি কলেজের পাশে ৪ দশমকি ০৫ একর জায়গা রয়েছে। এখানে দু’টি ২০ তলা ভবনে প্রতিটিতে ৮ শ’ বর্গফুটের ২২৮টি ফ্যাট এবং দু’টি ২০ তলা ভবনে প্রতিটিতে সাড়ে ৬ শ’ বর্গফুটের ২২৮টি ফ্যাট নির্মাণ করা হবে।
সূত্র: নয়াদিগন্ত