উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারি আত্তীকরণ অধ্যাদেশের বিষয়বস্তু বিবেচনাক্রমে তা পরিমার্জন করে রোববার সংসদে উদ্বৃত্ত ‘সরকারি কর্মচারি আত্তীকরণ বিল ২০১৬’ পাস করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে ইসমাত আরা সাদেক বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। খবর: বাসস
আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন অন্য কোন দলিল, চুক্তি, অঙ্গীকারনামা, সমঝোতাপত্র বা চাকরির শর্তাদিতে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন এবং তদ্ধীন প্রণীত বিধিমালার বিধানসমূহ প্রাধান্য পাবে বলে বিলে বিধান করা হয়েছে।
বিলে বলা হয়, এ আইনে যা কিছু থাকুক না কেন নিউজপেপার (এমেন্ডমেন্ট অব ডিক্লারেশন)-এর অধীন কতিপয় সংবাদপত্রের যেসব কর্মচারীর চাকরি বিলুপ্ত হয়েছে এবং যাদের আত্তীকরণের দায়িত্ব সরকার নিয়েছে সেসব কর্মচারীগণ সরকারি কর্মচারী হিসেবে গণ্য হবেন।
বিলে সরকারি কর্মচারীকে, যতদূর সম্ভব উদ্বৃত্ত হওয়ার অব্যবহিত পূর্বের স্কেলের সময় স্কেলভুক্ত পদে আত্তীকরণ করার বিধান করা হয়।
এছাড়া বিলে আত্তীকৃতদের জ্যেষ্ঠতা বেতন ও পেনশনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান করা হয়।
বিলে সরকার, আদেশ দ্বারা, উক্ত আদেশে নির্দিষ্টকৃত মেয়াদে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সরকারি কর্মচারি নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে বলে বিধান করা হয়।
বিলে উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারী আত্তীকরণ অধ্যাদেশ ১৯৮৫ রহিত করা হয়।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, নুরুল ইসলাম ওমর, নুরুল ইসলাম মিলন, স্বতন্ত্র সদস্য হাজী মো. সেলিম ও আব্দুল মতিন বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা নাকচ হয়ে যায়।
সূত্র: সমকাল