চলতি মাসের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী ২ জানুয়ারি থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল এ হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সপ্তম জাতীয় বেতন কাঠামোর মতোই সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল থাকবে।
এছাড়া তিনি আরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে জ্যেষ্ঠ সচিবদের যে জায়গায় রাখা হয়েছে সেই জায়গায় গ্রেড-১ প্রাপ্ত অধ্যাপকদের মধ্যে থেকে একটি অংশকে শতকরা হারে উন্নীত করা হবে। কিন্তু প্রকাশিত বেতন কাঠামোয় এর প্রতিফলন ঘটেনি।
বরং অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেটি বাস্তবায়ন হলে গ্রেড-১ প্রাপ্ত শিক্ষকদের সংখ্যা আগের চেয়ে অর্ধেক কিংবা আরো নিচে নেমে আসতে পারে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সেটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত ১৯৭৩-এর বিশ্ববিদ্যালয় আদেশের সরাসরি পরিপন্থী।সংবাদ সম্মেলনে ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা অর্থমন্ত্রীর কাছে সুস্পষ্ট আশ্বাস পেয়েছিলাম কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমরা প্রতারিত হয়েছি। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আর কিছু সম্ভব নয়। এখন কঠোর আন্দোলনে ছাড়া উপায় নেই।
এ সময় সাংবাদিকেরা জানতে চান কঠোর আন্দোলন বলতে কি বোঝাতে চাচ্ছেন? এ সময় তিনি বলেন, সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ (Completely Shut Down) হয়ে যেতে পারে।
মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কয়েক দিন আগে সভা করে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। তারাও মনে করেন অর্থমন্ত্রী নিজে থেকে সরে গেলেই মঙ্গলজনক। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, সরকারের স্থিতিশীলতার জন্য তাকে (অর্থমন্ত্রী) সরিয়ে দেবেন।
তিনি জানান, আজ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ কর্মবিরতিও চলছে।
উল্লেখ্য, সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেলসহ বিভিন্ন দাবিতে গত আট মাস ধরে আন্দোলন করছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষক সমিতিগুলোর জোট বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।