পড়ালেখা শেষ, পেশাদারি জীবন শুরু করার সময়। চাই একটা চাকরি, ভীষণ দরকার। কিন্তু ভাগ্যটা কেন যেন ‘ক্লিক’ করছে না! একেই চাকরি পাওয়া দুষ্কর, সাথে আবার আরেক সমস্যা-মনমতো চাকরি তো খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। চাইলেই তো যেনতেন একটা চাকরি শুরু করে দেওয়া যায় না। আগে একটা ব্যাপার ঠিকঠাক বুঝতে হবে আপনার, চাকরিটা ঠিকমতো খুঁজছেন তো? চাকরি খোঁজারও কায়দাকানুন আছে। ওয়ান্ডার লিস্টে চাকরি খুঁজে পাওয়ার ১০টি বুদ্ধি বাতলে দেওয়া হয়েছে; দেখুন তো আপনার কেমন কাজে লাগে!
১. সময় নিন
তাড়াহুড়া করে অনেক কিছু পাওয়া গেলেও মনমতো চাকরি পাওয়ার কথা না। হুট করে পাওয়া চাকরি বরং আপনার ঘাড়ে এক ভূতের মতোই চেপে বসতে পারে। কাজেই ঠিকমতো সময় নিন, ধীরেসুস্থে চাকরি খুঁজুন, তাড়াহুড়ার কিছু নেই।
২. নিজের ইচ্ছা বুঝুন
কেউ একটা চাকরি দেওয়ার কথা বলল, কিংবা হঠাৎ করে একটা জায়গা থেকে প্রস্তাব পেলেন-তাহলেই কি চাকরিতে ঢুকে পড়বেন? না বুঝে চাকরিতে ঢুকলে কিন্তু সেটা আপনার জন্য পরে সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এরচে বোঝার চেষ্টা করুন যে আপনি কি চান, কি করতে চান আর নিজেকে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে চান।
৩. ভালো জীবনবৃত্তান্ত লেখা শিখুন
একটি ভালো জীবনবৃত্তান্তের ওপর ভর করে আপনি কিন্তু আপনার পছন্দের চাকরিটি পেয়ে যেতে পারেন। আপনার চেহারা দেখে নয়, বরং কর্মদক্ষতা আর যোগ্যতা দেখেই নিয়োগ করা হবে কোনো না কোনো চাকরিতে। কাজেই সেটা আগে ভালোমতো লেখা শিখুন। দরকারে অভিজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিন, কয়েকটা সাইট বা ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে জেনে নিন ভালো জীবনবৃত্তান্ত বা সিভি লেখার কায়দা। জীবনবৃত্তান্ত কিভাবে তৈরি করবেন জানতে ক্লিক করুন: জীবনবৃত্তান্ত তৈরির নিয়ম
৪. জব সাইট
জব সাইটে নিয়মিত খোঁজখবর নিন। কোন কোন জব সাইট আপনার জন্য দরকারি, সেগুলো চিহ্নিত করে ফেলুন। সেখানে নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতে দেরি করবেন না। সুযোগ পেতে দেরি হবে না।
৫. সঠিক কাজে নজর দিন
কোন কাজের জন্য আপনি উপযোগী, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। নিজের প্রতিষ্ঠানে একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী হয়ে ওঠার জন্য এটা বোঝা খুবই দরকারি। সেখানে আপনার ক্যারিয়ার কতদূর এগোতে পারে, সেটা বোঝাও দরকারি।
৬. সোশ্যাল নেটওয়ার্ক
সহজ করে বলাই ভালো। ঠিকমতো ফেসবুক ব্যবহার করতে জানলে বন্ধুবান্ধবই কেবল নয়, স্বপ্নের চাকরিটি পেয়ে যাওয়াও অসম্ভব নয়; বরং খুবই সম্ভব। সেই সাথে লিংকড-ইনের মতো প্রোফেশনাল সামাজিক মাধ্যমগুলোয় অ্যাকাউন্ট রাখাও জরুরি।
৭. নিজের গণ্ডির মধ্যে সচল থাকুন
পরিচিতদের সাথে যোগাযোগ নিয়মিত বজায় রাখুন। হোক তা কারণে বা অকারণে! দরকারের সময় দেখবেন, পরিচিতদের রেফারেন্স চাকরি পাওয়ায় কতটা উপকারী হতে পারে।
৮. বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগাযোগ
বিভিন্ন পেশার, বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজনের সাথে যোগাযোগ তৈরি করুন। এতে সম্পর্কের পাশাপাশি আপনার নিজেরও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। সঠিক চাকরিটি খুঁজে পাওয়ায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
৯. সাক্ষাৎকার
যেমন চাকরি, তেমন বুঝে নিজেকে প্রস্তুত করুন। কোন সাক্ষাৎকারে একেবারে ধোপদুরস্ত হয়ে ব্যাকরণ মেনে কথা বলতে হবে আর কোথায় ক্যাজুয়াল আউটফিটে টানা আলাপে দেন-দরবার করতে হবে; সেটা কিন্তু না বুঝলেই নয়!
১০. আপ টু ডেট থাকুন
যেখানে যেখানে অ্যাপ্লাই করেছেন, সেখানে খোঁজখবর রাখুন। খোঁজ নিন নতুন কিছুর জন্যও। না হলে কিন্তু হয়ে যাওয়া চাকরিটাও ফসকে যেতে পারে।
সূত্র: এনটিভিবিডি ডট কম