সারাদেশে অবৈধ কোচিংবাণিজ্য এখন তুঙ্গে। প্রতিবছর দেশজুড়ে কমপক্ষে ৩২ হাজার কোটি টাকার কোচিংবাণিজ্য চলছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাব প্রায় একই রকম। শিক্ষার জন্য বছরে এ পরিমাণ ‘অতিরিক্ত অর্থ’ ব্যয় করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে কোচিং সেন্টারগুলো। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। বহু ক্ষেত্রেই মানহীন শিক্ষকরা সেখানে পাঠদান করছেন। রাজধানীকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা বৃহৎ কোচিং সেন্টারগুলো ঢাকার বাইরে একের পর এক শাখা খুলছে। কোচিংবাণিজ্য কার্যত নিষিদ্ধ হলেও এসব প্রতিষ্ঠান জয়েন্ট স্টক কোম্পানি থেকে ব্যবসার জন্য নিবন্ধন গ্রহণ করে কোচিং ব্যবসা চালাচ্ছে।
শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এডুকেশন কমিউনিকেশনের (ইসি) হিসাবমতে, দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় চার কোটি ২৪ লাখ ছাত্রছাত্রী কোনো না কোনোভাবে মূল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে অর্থের বিনিময়ে কোচিং নিচ্ছে। এ হিসাবে প্রায় ৭৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শিক্ষার্থীই কোচিংয়ের ওপর নির্ভরশীল। ইসির জরিপ বলছে, দেশজুড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় পৌনে দুই লাখ কোচিং সেন্টার রয়েছে। এগুলোতে বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। অবশ্য এডুকেশন রিসার্চ কাউন্সিল (ইআরসি) নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠান বলছে, দেশে বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার কোচিংবাণিজ্য হয়ে থাকে।
হরেক কোচিং: সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হরেক ধরনের কোচিং সেন্টারের ছড়াছড়ি। একাডেমিক কোচিং, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি কোচিং, ক্যাডেট কলেজ ভর্তি কোচিং, বিসিএস কোচিং, আর্মি-নেভি-বিমানবাহিনীতে চাকরি পাওয়ার কোচিংসহ বহু ধরনের কোচিং সেন্টার। কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য রাজধানীতেই মোট ৩৩টি কোচিং সেন্টারের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউসিসি, ইউনিএইড (কিরণ, কবির, সুমন), ইউনিএইড (মনির, মলি্লক, জহির), ফোকাস, সানরাইজ, গার্ডিয়ান, ডিভাইন, এনইউসিসি (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সাইফুর’স, ইপিপি (শুধু ক ইউনিট), ডিইউসিসি, ডিহক স্যার, লীডস, হোপ, আইকন প্লাস, ভয়েজ, মেরিন, আইকন, কোয়ান্টা, দুর্বার, প্যারাগন, অ্যাডমিশন অ্যাইড, প্রাইমেট, প্লাজমা, এইউএপি, সংশপ্তক, এফ্লিক্স, এডমিশন প্লাস, এডমিয়ার, ইউএসি, ইউরেনাস, পিএসি, ইঞ্জিনিয়ার্স। মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তির জন্য রয়েছে ১৩টি কোচিং সেন্টার- রেটিনা, সানরাইজ, পিএসি, কর্ণিয়া, ডিএমসি, মেডিকো, দি রয়াল, গ্রীন অ্যাডমিশন এইড, থ্রি ডক্টরস, ফেইম, প্রাইমেট, প্লাজমা, এভিস ও মেডিকেয়ার। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য উদ্ভাস, সানরাইজ, পিএসি, ওমেকা, মেরিন_ এ পাঁচটি কোচিং সেন্টার রয়েছে।
ঢাকায় প্রায় ১৯টি একাডেমিক কোচিং সেন্টারের মধ্যে রয়েছে সানরাইজ, ডিভাইন, উদ্ভাস, ম্যাবস, অপরাজিতা, আইডিয়াল একাডেমি, রিয়াল, সেন্ট তেরেসা, অন্বেষা, ফেইম, মবিডিক, ক্রিয়েটিভ, উদ্দীপন, ই. হক, বিইউপি, সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড, দুরন্ত, অভিযাত্রিক। আর ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষা শেখার কোচিং সেন্টারগুলো হলো সাইফুর’স, এফএম মেথড, ইংলিশ ওয়ার্ড, ব্রিজ কাউন্সিল, সুগন্ধা, হোপ, টার্গেট, নজরুল, ওয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, হিলস, এজিসিসি, ওরি, গ্গ্নোবাল, লীডার, ইংলিশ সেন্টার, এলফিক্স, বিজয়, সিডি মিডিয়া ও লিবার্টি ইংলিশ। বিসিএস ও অন্যান্য চাকরির জন্য রয়েছে ১৩টি কোচিং- কনফিডেন্স, বীকন, ওরাকল, ক্যারিয়ার এইড, এইউএপি, সাকসেস, সুগন্ধা, হোপ, প্রাইম একাডেমি, বিসিএস আপগ্রেড, ওয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, ইউনিটি, গ্গ্নোবাল প্রফেশনাল একাডেমি ও ডিফেন্স গাইড।
মেরিন টেক্সটাইল ও ক্যাডেট কোচিংয়ের জন্য রয়েছে প্রায় ছয়টি প্রতিষ্ঠান- ইম্যাক, ভয়েজ, মিরপুর ক্যাডেট কোচিং (ফার্মগেট শাখা), মেরিন গাইড, অ্যাডমিয়ার ও বর্ণ। আর শিক্ষকদের ব্যক্তিগত বড় ধরনের কোচিং প্রায় নয়টি- মানিক স্যার, আলবার্ট স্যার, ডি হক স্যার, জেমস স্যার, রোকন স্যার, সঞ্জয় স্যার, রণজিত স্যার, তরুণ স্যার ও আলতাফ স্যার।
গলাকাটা ফি: সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উদ্ভাস কোচিং সেন্টারে এ বছর সারাদেশে সব সেন্টার মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। যারা বিশেষ ছাড়ে ভর্তি হয়েছে, তাদের ভর্তি ফি ১৫ হাজার এবং বাকিদের কাছ থেকে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা মাথাপিছু ফি নেওয়া হয়েছে। ইউসিসি কোচিং সেন্টারে শুধু ঢাকার প্রধান অফিসে ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটে এবার অন্তত ১০ হাজার ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। ঢাকার ১০টি শাখা বাদেও সারাদেশে এ প্রতিষ্ঠানের আরও ৯৮টি শাখা আছে। ভর্তি ফি প্রতি ইউনিট ১২ হাজার টাকা, আইবিএর বিবিএ ১১ হাজার ৫০০ টাকা, যৌথভাবে যে কোনো দুটি ইউনিট ১৮ হাজার টাকা, বিবিএ ও যে কোনো ইউনিট ১৭ হাজার টাকা এবং বিবিএ, ‘ঘ’ ইউনিট ও অন্য যে কোনো একটি ইউনিট ২২ হাজার টাকা।
বিসিএস ওরাকল কোচিং সেন্টারের দেশজুড়ে মোট ২৩টি শাখা আছে। এদের মধ্যে শুধু ফার্মগেট সেন্টারে বিসিএসের জন্য কমপক্ষে ২০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। জনপ্রতি গড়ে ১০ হাজার টাকা করে কোচিং ফি নেওয়া হচ্ছে।
কোচিং মালিকদের বক্তব্য: ই. হক কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ইমদাদুল হক সমকালকে বলেন, ‘শিক্ষকরা ক্লাসে পড়ায় না বলেই ছাত্রছাত্রীরা কোচিং সেন্টারে আসে। আমরা তো শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে ডেকে আনছি না।’ কোচিং সেন্টার পরিচালনার জন্য নীতিমালার প্রয়োজন স্বীকার করে তিনি বলেন, “আমার কোচিংয়ের জন্য আমি আয়কর দিই। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নীতিমালা চেয়েছি। নীতিমালা হলে ‘ব্যাঙের ছাতার’ মতো যত্রতত্র কোচিং সেন্টার গড়ে উঠবে না।”
ইউনিএইডের (মনির, মলি্লক, জহির) পরিচালক জহিরুল কাইয়ুম সমকালকে বলেন, ‘কোচিং করাটা কারও জন্য বাধ্যতামূলক নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কিছু অতিরিক্ত যোগ্যতা লাগে। তাই ছাত্রছাত্রীরা কোচিং সেন্টারে আসে।’ নীতিমালা প্রয়োজন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নীতিমালার ভালো-মন্দ দুটি দিকই আছে। কিছু কিছু কোচিং সেন্টার শিক্ষার্থীদের প্রতারণা করছে।
নীতিমালা থাকলে সেটা বন্ধ হবে।’ তিনি জানান, ‘কোচিংবাণিজ্য’ শব্দটি একটি উপমা ছাড়া আর কিছু নয়। কোনো কোচিং সেন্টার তো কাউকে কোচিং করতে বাধ্য করে না। সবাই সবার যোগ্যতা নিয়েই ভর্তির সুযোগ পায়। এটাকে কোচিংবাণিজ্য বলতেও নারাজ তিনি।
‘ক্লাসে বোঝানো হয় না, তাই কোচিংয়ে যাই’ :রাজধানীর উদয়ন স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সানজিদা হক তৃষা। নিজ স্কুলের শিক্ষককের কাছেই গণিত ও ইংরেজি কোচিং করে। ক্লাসের বাইরে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে তাকে কোচিং করতে হচ্ছে। কেন তুমি কোচিংয়ে যাচ্ছ- জানতে চাওয়া হলে তৃষার অকপট উত্তর, ‘ক্লাসে যা পড়ায়, তাতে হয় না। সেখানে ভালোমতো বোঝানো হয় না। তাই কোচিং তো করতেই হয়।’ তৃষার মতো লাখ লাখ শিক্ষার্থীর একই মনোভাব- ক্লাসে বুঝি না। বোঝানো হয় না। দেখা গেল, তৃষার অভিভাবকের মুখেও একই কথা।
সিতারা পারভীন নামের তৃষার অভিভাবক বলেন, ‘মেয়েটাকে ভালো রেজাল্ট করাতে হলে কোচিং করাতেই হবে। নইলে সে অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে পড়বে।’ শাহেদ আজগর নামের ভিকারুননিসার এক অভিভাবক সমকালকে বলেন, ‘সরকারের ইচ্ছা হয়েছে তাই কোচিং নিষিদ্ধ করেছে। সরকার তো নিয়ম করতে পারবে। আমার সন্তানের কি ভালো রেজাল্ট সরকার দিতে পারবে?’ তবে আইডিয়াল স্কুলের কোনো কোনো অভিভাবকের ভাষ্য হচ্ছে, ‘আমরা পড়াতে না চাইলেও স্কুলের ক্লাসে শিক্ষকরা তাদের ব্যক্তিগত কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দেন। সন্তানও যেতে চায়। তাই অনেক সময় বাধ্য হয়েই কোচিংয়ে পাঠাতে হয়।’
অকার্যকর নীতিমালা: ২০১২ সালের ২০ জুন কোচিংবাণিজ্য বন্ধের নীতিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পর ওই বছরের ২৫ জুন নীতিমালায় একটি সংশোধনী আনা হয়। এতে সব বিষয়ের জন্য স্কুলভিত্তিক কোচিং ফি সর্বোচ্চ এক হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। নীতিমালায় বলা আছে, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। তবে তারা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের অনুমতি সাপেক্ষে অন্য প্রতিষ্ঠানের দিনে সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থীকে নিজ বাসায় পড়াতে পারবেন। বাস্তবে এ নীতিমালা কেউই মানছেন না।
এ নিয়ে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল কবির দুলু সমকালকে বলেন, নীতিমালা কার্যকর করার জন্য একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বাস্তবে সে কমিটিও নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এ নীতিমালা জারির পর কোচিংবাণিজ্য শুধু বাড়েনি, বরং বেড়েছে কোচিং ফিও। আবার নীতিমালা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে শুরু হয়েছে পরস্পরকে ঘায়েল করার তৎপরতা।এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন সমকালকে বলেন, ‘কোচিংবাণিজ্য বন্ধে শিক্ষা প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে। তবে একসঙ্গে তো সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে না। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।’
শিক্ষাবিদদের বক্তব্য: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সমকালকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যত আসন, তার কয়েক গুণ বেশি প্রতিযোগী। এ প্রতিযোগিতায় সুযোগ পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা কোচিং করে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চায়। আর কোচিং ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করছে।’
অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘কোচিংবাণিজ্য রোধে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সব মহলকেই সচেতন হতে হবে। আইন করে এটা রোধ করা যাবে না। কোচিংয়ের নেতিবাচক দিকগুলো জনসমক্ষে তুলে ধরতে হবে। তাহলে অনেকেই সচেতন হবে বলে মনে করি।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘কোচিংবাণিজ্য আইন করে বন্ধ করা যাবে না। এটাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষকদের নৈতিক দিক থেকে আর বেশি শক্তিশালী হওয়া দরকার। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানসিকতায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। অন্যথায় এ সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় নেই।’
অভিভাবকদের পক্ষে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, “বিদ্যালয়ে অবৈধ কোচিংবাণিজ্য বন্ধের জন্য ‘দ্য রিকগনাইজ নন-গভর্নমেন্ট সেকেন্ডারি স্কুল টিচার্স টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস সার্ভিস রেগুলেশনস-১৯৭৯’ আইনের যথাযথ প্রয়োগ করলেই হবে। আর কিছু লাগবে না।”
সরকারের বক্তব্য: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সমকালকে বলেন, কোচিং ব্যবসা একদিনে এতদূর প্রসার লাভ করেনি। তাই বন্ধও একদিনে করা যাবে না। এ জন্য দরকার ব্যাপক জনমত। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টও নির্দেশ দিয়েছেন, তবুও কোচিং বন্ধ হয়নি। আমরা নীতিমালা করেছি, তা কার্যকর করার চেষ্টা করছি। তবে সাধারণ মানুষের সচেতনতা ছাড়া এ কাজে সফল হওয়া সম্ভব নয়।’ মন্ত্রী বলেন, ‘ক্লাসরুমে কিছু শিক্ষক পরিপূর্ণ পাঠদান করেন না, অথবা পারেন না। শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবাই চান, ক্লাসরুমের ঘাটতিটুকু পুষিয়ে নিতে। এ থেকেই কোচিংয়ের সৃষ্টি। কিছু মানুষ এটাকে অর্থবিত্ত গড়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। দেশবাসী এটার নেতিবাচক দিক উপলব্ধি করে রুখে দাঁড়ালে কোচিং ব্যবসা আর থাকবে না।’
সৌজন্যে : সমকাল