এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কোন ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ না হওয়া ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড। প্রথমে সবকটি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হবে। এরপর যাদের জবাব সন্তোষজনক হবে না তাদের পাঠদানের স্বীকৃতি বাতিল করা হবে। তবে ইতোমধ্যে শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, ওই সব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই নামসর্বস্ব। এগুলো থেকে মাত্র দু’তিন জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এ বিষয়ে জানতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ তপন কুমার সরকার বলেন, ‘গত বছরও এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে শোকজ (কারণ দর্শানো) দেয়া হয়। পরবর্তীতে অনেকগুলোর পাঠদানের স্বীকৃতি বাতিল করা হয়। এবারও যেসব প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থী পাস করেনি সেগুলোর বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা ওইসব প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করছি। এরপর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গত ৪ মে প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৮টি শিক্ষা বোর্ডের ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাদ্রাসা বোর্ডের ৮২টি। বাকি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা বোর্ডের ২টি, রাজশাহীর একটি, কুমিল্লার ২টি, যশোরের ২টি, চট্টগ্রামের একটি, বরিশালের ২টি এবং দিনাজপুরের একটি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম ছায়েফ উল্লাহ গতকাল বলেন, ‘শূন্য পাস করা ৮২টি প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করে দেয়া হবে। দু’একদিনের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানকে শোকজ নোটিশ দেয়া হবে। তবে ৮২টি মাদ্রাসার মধ্যে তিনটি আছে এমপিওভুক্ত, এগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে।’
তিনি আরও জানান, ‘৮২টি মাদ্রাসার কোনটি থেকে একজন, কোনটি থেকে দু’জন বা তিনজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। আমাদের এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের দরকার নেই।’
এর আগে ২০১৬ সালেও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৫৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে কোন শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। অন্যদিকে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী না পাওয়ায় গত বছর বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের শতাধিক কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকা বোর্ডের ছিল ৭৯টি।