গ্রীষ্মের ছুটিতে ৭ দিন অতিরিক্ত ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ”শিক্ষর্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গ্রীষ্মের ছুটিতে ৭ দিন ক্লাস নেবেন শিক্ষকরা। আর যেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে শনিবার ও শুক্রবারেও ক্লাস নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হবে।”
এর আগে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে বিএনপি জোটের হরতাল-অবরোধের কারণে শিক্ষাখাতে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রীসহ এতে অংশ নেন বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, নামীদামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ”শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা চাইলে ১৫ দিনের গ্রীষ্মকালীন ছুটির মধ্যে ৭ দিন প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে অতিরিক্ত ক্লাস নিতে পারবেন। তারপরও যদি সিলেবাস ঘাটতি পুষিয়ে না নেয়া যায় তাহলে শুক্র-শনিবারেও ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
” নুরুল ইসলাম নাহিদ আরো বলেন, ”যেহেতু পাঠদানের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে এরই মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়া হয়েছে। তাই ছুটির মধ্যে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে চাপিয়ে দিচ্ছি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা যদি মনে করেন অতিরিক্ত ক্লাস নেয়া প্রয়োজন, তাহলে তারা সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।”
এছাড়া হরতাল-অবরোধের মধ্যে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী অভিভাবকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ”এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বাবা-মায়েদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। ঠিকমতো খাতা দেখা হচ্ছে। আশা করি, শিক্ষার্থীরা ভালো ফল পাবেন।”