চির সবুজের দেশ নিউজিল্যান্ড। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি দেশটির শিক্ষাব্যবস্থাও বেশ উন্নত। নিউজিল্যান্ডের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অন্যতম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি নানা ধরণের বৃত্তি দিয়ে থাকে। উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে নিউজিল্যান্ড এখন বেশ আগ্রহের।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি ব্যবসায় শিক্ষার উপর স্নাতক ডিগ্রীধারী বাংলাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবসায় ও ব্যবসায় তথ্য ব্যবস্থাপনার উপর ডিন’স এশিয়া বৃত্তি চালু করেছে। এই বৃত্তি প্রথম ২০১১ সালে প্রবর্তিত হয়। যা অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্কুলের আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ডিন’স এশিয়া বৃত্তির উদ্দেশ্য হল- এশিয়া অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যবসায় তথ্য ব্যবস্থাপনা ও বাণিজ্য নীতি সম্পর্কে উন্নত জ্ঞানের প্রসার ঘটানো।
বৃত্তির পাঠ্য বিষয়– ব্যাচেলর অব কমার্স, ব্যাচেলর অব বিজনেস ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট এবং ব্যাচেলর অব প্রোপারটি ডিগ্রি। এসব বিষয়ে অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা যাবে।
যোগ্যতা:
ক্স এশিয়া অঞ্চলের নির্ধারিত ও বৃত্তির জন্য অনুমোদিত দেশ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে।
ক্স আবেদনকারীকে অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্কুলের নির্বাচক কমিটির ডিন অথবা সহযোগী ডিন অথবা বিজনেস স্কুলের প্রধানের সুপারিশ পেশ করতে হবে।
ক্স তবে, যদি কোন বছর বৃত্তির আবেদনকারী প্রার্থীদের যথাযথ মেধা নেই বলে নির্বাচক কমিটি মনে করে তাহলে তাদেরকে বৃত্তি প্রদানে অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি বাধ্য থাকবে না।
নির্বাচক কমিটি বৃত্তির আবেদনকারী প্রার্থীদের একাডেমিক মেধা, আর্থিক প্রয়োজনীয়তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অর্জনে মেধা প্রদর্শনের সম্ভাব্য ক্ষমতার উপর গুরুত্ব দিয়ে তা বিবেচনা করবেন।
বৃত্তির সংখ্যা ও মেয়াদ:
৩ বছরের জন্য বৃত্তি সুবিধা থাকবে। বছরে প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টারের জন্য দুটি কিস্তিতে ফি পরিশোধ করা যাবে। এ পর্যন্ত ৩ টি বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।