আগামী ২৬ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়োগের জন্য ২৪ লাখ ১ হাজার ৫৯৭টি আবেদন পড়েছে। ২৬ অক্টোবর প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানসহ এ সংক্রান্ত বিষয়ে গতকাল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উচ্চপর্যায়ের যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা পিছিয়েছে। আগামী ৯ অক্টোবর বেলা ৩টায় এ সভার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল এ বৈঠকটি না হওয়ার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, সারা দেশে সরকারের ‘উন্নয়নমেলা’ কাজে অনেক কর্মকর্তা ব্যস্ত ও দায়িত্বরত থাকায় শেষ মুহূর্তে বৈঠকটি পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ শিক্ষক নিয়োগকার্যক্রম চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়াটি একটি চলমান কার্যক্রম। এতে কোনো ধরনের বাধার সৃষ্টি হবে না। সরকার পরিবর্তন বা নির্বাচিত সরকার থাকা না থাকার প্রশ্নের সাথে এটি সম্পৃক্ত নয়। কারণ জানুয়ারিতেই নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে। তার আগেই যদি শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করা যায়, তাতে শিক্ষাকার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটবে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি-৪) আওতাভুক্ত ১২ হাজার শিক নিয়োগকার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ৩০ জুলাই ‘সহকারী শিক নিয়োগ-২০১৮’ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ১-৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনকার্যক্রম শেষ হয়। সারা দেশ থেকে মোট ২৪ লাখ ১ হাজার ৫৯৭টি আবেদন এসেছে। ২৬ অক্টোবর শিক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে জাতীয়করণকৃতসহ বর্তমানে সারা দেশে ৬৪ হাজার ৮২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিকের পদ শূন্য রয়েছে। এ কারণে নতুন করে আরো ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পুরনো নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামীতে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে যাচ্ছে, সে নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের নতুন নীতিমালা বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ইতোমধ্যে এ নীতিমালা সচিব কমিটির অনুমোদন লাভ করেছে।