প্রাথমিক শিক্ষক অধিকার সুরক্ষা ফোরামের আহ্বায়ক মো. সিদ্দিকুর রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শরীফুল ইসলাম খান আজ এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত ২০১৬ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক শিক্ষকরা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা সরকারি বিধি মোতাবেক তিন বছরের স্থলে চার বছরে পেতে যাচ্ছে। সরকারি চাকুরিজীবীদের পনের দিনের শ্রান্তি বিনোদনের জন্য অতিরিক্ত পনের দিনের ছুটি দেওয়া হয়। অথচ প্রাথমিক শিক্ষকদের সরকারি চাকুরিজীবীদের মত ১৫ দিনের বাড়তি ছুটি দেওয়া হয় না। শিক্ষকদের বার্ষিক ছুটির তালিকায় গ্রীষ্মের ছুটি অথবা রমজানের ছুটিকে ১৫ দিন শ্রান্তি বিনোদনের ছুটি হিসেবে দেখানো হয়। আরবি বছর ৩৬৫ স্থলে ৩৫৫ দিন। সেহেতু শিক্ষকদের ৪/৫ বছর পর পর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পেতে হচ্ছে। গ্রীষ্মের ছুটি ১৫ দিন দেখানো হলে সরকারি কর্মচারীদের মতো ৩ বছর পর পর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পাবেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০১৫ সালের মতো ২০১৬ সালের মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত ছুটির তালিকায় গ্রীষ্মের ছুটি ৬ দিন রাখা হয়েছে। এতে বাধ্য হয়ে সংশ্লিষ্টরা রমজানের ছুটিকে শ্রান্তি বিনোদনের জন্য নির্ধারণ করবে। যার ফলে প্রাথমিক শিক্ষকেরা ক্ষতিগ্রস্থের পাশাপাশি অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে শিশুরা যথাযথ মর্যাদার সাথে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতির পিতার জন্মদিবস, স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় শোক দিবস, বিজয় দিবস, বাংলা নববর্ষের দিবসকে পালন করার জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখা প্রয়োজন। ফলে শিশুদের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগ্রত হবে। অথচ ছুটির তালিকায় ছুটি দেখিয়ে শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তালিকায় ছুটি থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনেকটা দায়সারা গোছের যেনতেনভাবে দিবসগুলো পালন করে থাকে। সংশ্লিষ্টদের এহেন কর্মকা- অনেকটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের পরিপন্থী।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতকরণ, আগামী প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস ভালভাবে জানার জন্য জাতীয় দিবসসহ অন্যান্য দিবসগুলোও ছুটির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সে ছুটিগুলো গ্রীষ্মের ছুটি ১৫ দিন রাখা যেতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষকেরা অতিরিক্ত ছুটি দাবি করে না। তাদের চাওয়া শ্রান্তি বিনোদন সময়মত পাওয়া ও শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস শিক্ষার মাধ্যমে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলা সম্ভব। ছুটির তালিকা সংশোধনের নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সূত্র: দৈনিক শিক্ষা