১৭ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক পাচ্ছে। এসব স্কুলের এ পদটি সর্বোচ্চ আট বছর পর্যন্ত খালি আছে। নানা জটিলতার কারণে এতদিন এ পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যাচ্ছিল না।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক বৈঠকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, উল্লেখিত পদে আমরা আপাতত চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক নিচ্ছি। নীতিমালা অনুযায়ী এ পদে ৩৫ শতাংশ সরাসরি ও ৬৫ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির। এ কারণে এটি সরাসরি নিয়োগ বা পদোন্নতি যেটিই হোক পিএসসির (সরকারি কর্ম কমিশন) মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয়। কিন্তু পদোন্নতির প্রক্রিয়াটি সময় সাপেক্ষ। অপর দিকে মাঠ পর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের অভাবে শিক্ষার মানোন্নয়ন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ বজায় রাখাসহ আনুষঙ্গিক কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কারণে সহকারি শিক্ষকদের মধ্য থেকে জেষ্ঠ্যতা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের পদে চলতি দায়িত্ব দেয়া হবে।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান, গিয়াস উদ্দিন আহমদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র:দৈনিক যুগন্তর (২৩/০৫/১৭ ইং)