জন্ম থেকে কয়েক দিন পেরোতে না পেরোতেই আমাদের ওপর চেপে বসে রাজ্যের লেখাপড়ার বোঝা। কে কত পারে মাথার মধ্যে তথ্য আর পড়ালেখার উপকরণ বোঝাই করতে, তার প্রতিযোগিতা তো পড়ালেখা শেষেও যায় না, তৈরি হয় চাকরির চিন্তা। সেখানেও পরীক্ষা আর পরীক্ষা। পরীক্ষায় ভালো করতে হলে তো যা পড়েছেন, তা মনে না রেখে উপায় নেই। এই মনে রাখার উপায় খুঁজতে গিয়ে শেষে যেন কিছুই আর মনে থাকে না, এমন দশা হয় অনেকেরই। জানা জিনিস, পড়া জিনিস, নিজের হাতে লেখা জিনিসটিও কেন যেন একেবারে উধাও হয়ে যায় স্মৃতিপট থেকে।
মগজের খোলতাই কিন্তু যে নতুন নতুন খাবার আর ওষুধ খেয়ে হবে, এমন নয়। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কম না বেশি হবে, তা নির্ভর করে আপনার ওপরেই। মস্তিষ্ক হলো ধারালো একটি ছুরির মতন, একে যত শান দেবেন, ততই এর ধার বেড়ে যাবে। আর যতই অকেজো রাখবেন, ততই ভোঁতা হয়ে যাবে। তবে ধার দিতে হবে বুঝেশুনে। যত মাপ আর কায়দামতো এই ধার দেওয়ার কাজটি করবেন, আপনার স্মরণশক্তি ততই বাড়বে। ক্যারিয়ার এডিক্ট ওয়েবসাইটে এমন ১০টি দৈনন্দিন কাজকর্মের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো আপনার স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করায় উপযুক্ত ভূমিকা রাখতে পারে।
১. প্রতিদিনই কোনো না কোনো জায়গায় আমাদের যাওয়া হয়। বাড়ি ফিরে স্মৃতিশক্তি থেকে সেই জায়গার একটা ম্যাপ এঁকে ফেলুন।
২. যখন খাবার খাবেন, তখন খাবারে কী কী উপাদান ব্যবহার হয়েছে, সেগুলো আলাদা করে ধরার চেষ্টা করুন। প্রতিটির আলাদা স্বাদ মাথায় গেঁথে ফেলুন।
৩. প্রতিদিন একটি করে ক্রসওয়ার্ড পাজল সমাধান করুন।
৪. আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিত ১০ জন মানুষের ফোন নম্বর মুখস্থ করে ফেলুন, যাঁদের নিয়মিত ফোন দেওয়া হয়। এর পর পারলে আরো করুন।
৫. কোনো পেনসিল, কলম, ক্যালকুলেটর বা কম্পিউটারের সাহায্য ছাড়া কোনো গণিতের সমস্যা দেখে সেটির উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
৬. মনে মনে কোনো একটি শব্দ ধরুন এবং এর বানানটা খেয়ালে রাখুন। এবারে আরেকটি এমন শব্দ মনে করার চেষ্টা করুন, যার শুরু অথবা শেষে আগের শব্দটির অন্তত দুটি বর্ণ রয়েছে।
৭. বাজারের লিস্টে কী কী আছে তা মনে করুন, অবশ্যই যদি অন্তত ডজনখানেক আইটেম থাকে তবেই!
৮. বাজার করার সময় কত টাকা খরচ হচ্ছে, তার একটি চলমান হিসাব মাথার মধ্যে চালু রাখুন।
৯. দিনে ১০ মিনিট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজধানীর নাম মনে করার চেষ্টা করুন।
১০. আপনার প্রিয় কোনো গানের কথা মনে রাখার চেষ্টা করুন।