সি-প্লেন তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে পটুয়াখালীর শাওন। এর আগে সে সিকিউরিটি এলারাম তৈরী করে ব্যাপক আলোচনায় আসে।
সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সি-প্লেন আকৃতির যানটি শুক্রবার বিকালে প্রথম দফায় আকাশে ওড়াতে শাওন কিছুটা ব্যর্থ হলেও শিগগিরই সফল হবে বলে শতভাগ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে সে।
এ উপলক্ষে উপজেলার গাববাড়িয়া নদীর দুই পাড়ে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভিড় করেছিল। এ সময় নদীতে ভাসিয়ে আকাশে ওড়ার চেষ্টা করে শাওন। কিন্তু তার প্রথম দফার মিশন সম্পূর্ণ সফল হয়নি। ওপরে ওঠে আবার পানিতে পড়ে যায়।
কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নে কুয়াকাটার অদূরে অবস্থিত মোয়াজ্জেমপুর গ্রামে মাহবুবুর রহমান শাওনের বাড়ি। বাবা নাসির উদ্দিন খান মাদ্রাসার শিক্ষক। ৯ বছরের তরুণ শাওনের ছোট বেলা থেকেই কারিগরি বিষয় নিয়ে আগ্রহ। যান্ত্রিক যানের প্রতি রয়েছে প্রচণ্ড ঝোঁক। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর থেকে তার মাথায় চাপে সি-প্লেন বানানোর ইচ্ছা। বর্তমানে বরিশালের একটি টেকনিক্যাল কলেজে ডিপ্লোমা করছে সে।
শাওন জানান, এটি তৈরিতে একটি ওয়ালটন মোটর সাইকেলের ইঞ্জিন, কক্সসিটের তৈরি ৮/৮ ইঞ্চি ও ৫ ফুট দৈর্ঘ্যরে দুটি খুটি, চারটি বৈদ্যুতিক ফ্যানের পাখা, কাঠ, ব্যাটারি, কাপড়, পলিথিন, লাইলন সুতা, একটি প্লাস্টিকের চেয়ার ও কয়েকটি অ্যালোমিনিয়ামের পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় ছয় মাস চেষ্টা ও ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এটি তৈরি করতে।
এ যানটি নিয়ে শুক্রবার নদীতে নেমে পড়ে শাওন। বিষয়টি এলাকার লোকজন জেনে যাওয়ায় প্লেন ওড়ানো নদীর তীরে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। এ দফায় শতভাগ সফল হয়নি শাওন। কিন্তু সে শিগগিরই সি-প্লেন ওড়াতে শতভাগ সফল হবে দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছে। শাওন মাত্র ১৭ দিন চেষ্টা করে এ পর্যন্ত পৌঁছেছে। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনটি তার ধার করে আনা। আর অন্যান্য বাবদ প্রায় সতের হাজার টাকা তার খরচ হয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শিগগিরই এটি আকাশের ওড়ানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করল এ তরুণ। বর্তমানে শাওনের এ সি-প্লেনটি দেখতে তার বাড়িতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছে।