সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতরে শূন্যপদ কত, সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। গত ৩০ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠান পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। শূন্য পদ সম্পর্কে জানতে চাওয়ার দুটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
বলা হয়েছে, ৩৫তম বিসিএস থেকে ক্যাডার পদে ইতিমধ্যে সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২০১০ সালের নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালায় ক্যাডার পদে সুপারিশ পাননি এরকম প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণির এবং দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষক, প্রশিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মকর্তার শূন্য পদের সংখ্যা এবং নিয়োগবিধি পিএসসিতে পাঠানো দরকার। এটি করা হলে ৩৫তম বিসিএস উত্তীর্ণ অথচ ক্যাডার পদে সুপারিশ পাননি এরকম প্রার্থীদের মধ্য থেকে ১ম ও ২য় শ্রেণির কর্মকর্তা পদে নিয়োগের সুপারিশ দ্রুত ও স্বল্পতম সময়ে করা যাবে।
এ ছাড়া ৩৬তম বিসিএসের (যে পরীক্ষা এখন চলমান) মাধ্যমে ক্যাডার পদের ক্ষেত্রে বিদ্যমান শূন্য পদও পূরণ করা যাবে। জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, পিএসসির চিঠির কপি তাদের কাছেও এসেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও দফতরে সর্বশেষ শূন্য পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। সূত্রগুলো জানায়, জনপ্রশাসনের সব শূন্য পদে নিয়োগের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হচ্ছে : পিএসসির সঙ্গে যোগাযোগ করে সব নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন এবং সব শূন্য পদে নিয়োগ ত্বরান্বিত করতে হবে। নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনে পিএসসিতে একাধিক উইং সৃষ্টি করে শিক্ষক এবং চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, সরকারের ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্প্রতি ৩৪তম বিসিএস উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে ৮৯৮ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। ‘নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা-২০১০’-এর বিধান অনুযায়ী এ নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
ভবিষ্যতেও একই বিধিমালায় শূন্য পদ পূরণের পরিকল্পনা রয়েছে। ড. মোহাম্মদ সাদিক চিঠিতে উল্লেখ করেন, সরকারি নির্দেশনার আলোকে শূন্য পদে জনবল নিয়োগ কার্যক্রম আরও দ্রুত সম্পন্নকরণের স্বার্থে এ কমিশন সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সচিবালয়ের জনবল কাঠামোতে পদসৃজন নিয়োগ কার্যক্রমের প্রতিটি পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কমিশনের এসব উদ্যোগ তখনই সফল হবে যখন দ্রুততার সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগসমূহের শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য তাদের সার্বিক সহযোগিতা পাওয়া যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে লেখা চিঠিতে পিএসসির চেয়ারম্যান আরও উল্লেখ করেন, আমি জানি, সরকারি শূন্য পদ পূরণের ক্ষেত্রে আপনি সতত গুরুত্ব প্রদান করে থাকেন। কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের এবং অধীনস্থ দফতর/অধিদফতর/সংস্থার সংশ্লিষ্ট সবাইকে আপনার পক্ষ থেকে একটি জরুরি নির্দেশনা প্রদান করা হলে ৩৬তম বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে এবং ৩৫তম বিসিএস থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের বিষয়টি ত্বরান্বিত হবে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন