সরকার মেয়েদের স্বাস্থ্য সমস্যা কথা বিবেচনা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের জন্য আলাদা টয়লেট করার নির্দেশ দিয়েছে। নির্দশনায় এ বিষয়টি অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও জানানো হয়। বুধবার এ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। একই পরিপত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ আদেশে বলা হয়, টয়লেট পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির নজরদারিতে আনতে হবে। ম্যানেজিং কমিটি এ খাতে একটি পৃথক সংরক্ষিত তহবিলের ব্যবস্থা করবে। তারা টয়লেটগুলো নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখতে লোক নিয়োগ করবে। সংরক্ষিত তহবিল থেকে এ ব্যয় মেটানো যাবে। এ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখতে হবে।
২০১৪ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজিন বেজলাইন সার্ভে অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি ১৮৭ শিক্ষার্থীর জন্য একটি টয়লেট আছে। কিন্তু এরও ৪৫ শতাংশ বিভিন্ন কারণে বন্ধ থাকে। দুই-তৃতীয়াংশ টয়লেটের ভেতর বা কাছাকাছি পানি ও সাবানের ব্যবস্থা থাকে না। এ ছাড়া টয়লেটের জানালা ছোট, আলো-বাতাস অপ্রতুল এবং বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও বাল্ব থাকে না। ফলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টয়লেটের অব্যবস্থাপনায় মেয়েদের স্বাস্থ্য সমস্যা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির ওপর বেশি প্রভাব ফেলে।
ঋতুকালীন (মাসিক) সময়ে বেশির ভাগ মেয়েরা স্কুলে উপস্থিত হতে পারে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর টয়লেট ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নতকরণে পরিপত্র জারি করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর করা হবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়। শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান গত মঙ্গলবার এ পরিপত্রে স্বাক্ষর করেন। পরিপত্রে বলা হয়েছে, এ জন্য তাদের পৃথক তহবিলের ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করতে হবে। আর পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য শিক্ষকদের নেতৃত্ব দিতে হবে। স্কাউট, গার্লস গাইড নিয়ে টয়লেট ও স্যানিটেশন কমিটি গঠন করা যেতে পারে।