দেশের ১৭ উপজেলার ৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে গণিতভীতি রয়েছে তা দূর করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
রাজধানীর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর অডিটোরিয়ামে রোববার (২১ অক্টোবর) গণিত অলিম্পিয়াড কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির সম্ভব্যতা যাচাই প্রকল্প ‘উদ্বোধানী এবং অবহিতকরণ কর্মশালায়’প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গণিতের ওপর ভয় কাটাতে দেশের ১৭টি জেলার ১৭ উপজেলার ৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমে দেশে-বিদেশে গণিত শিক্ষা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের গণিতভীতি দূর করতে আমরা এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘পাইলট প্রকল্প সফল হলে দেশের প্রায় ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণিত অলিম্পিয়াডের আওতায় আনা হবে।’
বক্তব্য শেষে এ প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের গণিত ও ইংরেজি বিষয়ের ওপর এক ধরনের ভীতি কাজ করে। এটি কাটিয়ে তুলতে হবে। এ অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে গণিতের ওপর পারদর্শী করা সম্ভব হবে।’
এ শিক্ষাবিদ আরও বলেন, ‘দেশের চার কোটি শিক্ষার্থীকে যদি সঠিকভাবে শিক্ষা দেয়া সম্ভব হয় তাহলে দেশ এমনিতেই এগিয়ে যাবে।’ এ অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় অন্তত একটি মেডেল পেলেও ওই শিক্ষার্থীকে দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানান জাফর ইকবাল।
অনুষ্ঠানে আরেক বিশেষ অতিথি জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘দেশে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এগিয়ে গেলেও মানের দিক থেকে দুরাবস্থা বিরাজ করছে। বিশ্বের সঙ্গে সমন্বয় করে মানসম্মত শিক্ষা দিতে না পারলে আমাদের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়বে। কোয়ালিটি শিক্ষা ছাড়া দেশের গণতন্ত্রকেও জাগ্রত করা সম্ভব হবে না।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মনজুর কাদির। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পিটিআইয়ের প্রশিক্ষক, মন্ত্রণালয়ের ঊধ্র্বতন কর্মকর্তারা।