কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষককে লাঞ্ছনার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী বায়েজীদ ইসলামকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আলী আশরাফ নিজস্ব ক্ষমতাবলে ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৬ জানুয়ারির ঘটনায় বায়েজীদ ইসলামের বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মো. নাহিদুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষক উল্লেখ করেন, “তাঁকে উদ্দেশ করে বায়েজীদ বলেন, ‘ঢাকায় গিয়ে বসে থাকেন, কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা নেন না। ঘাড় ত্যাড়া শিক্ষক, সবাইকে পেটালে ঠিক হবে।’” এই অভিযোগের পরই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়েজীদকে আজ সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী বায়েজীদ ইসলাম বলেন, ‘যে অভিযোগে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে তা সঠিক হয়নি। আমি ওই শিক্ষককে খারাপ ভাষায় কথা বলিনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘শিক্ষকের অভিযোগের পর এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। শিক্ষক লাঞ্ছনার ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
গত ২২ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখেন শিক্ষকরা। একই দিন থেকে শিক্ষার্থীরাও ক্লাস ও পরীক্ষা চালুর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলন চলার সময় গত ২৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে স্ত্রীকে নিয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক মো. নাহিদুল ইসলাম শহরে যাচ্ছিলেন। পরে শিক্ষার্থীরা ওই বাসটি থামিয়ে দিলে সবাই বাস থেকে নেমে পড়েন। এরপর ওই শিক্ষক শহরে না গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলেন কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী। যাঁদের মধ্যে বায়েজীদও ছিলেন।
সূত্র: এনটিভিবিডি ডট কম