মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি হওয়ার জন্য লিখিত পরীক্ষায় কমপক্ষে ৪০ নম্বর পাওয়ার আগের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ১৪ নভেম্বর রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ৪০ নম্বর রাখার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মূলত বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই সভা ডেকেছিল মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মো. নূরুল হক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন মোরশেদ আহমেদ চৌধুরী নম্বর কমানোর পক্ষে সভায় বক্তব্য দেন।
এ বছরের ১ জুলাই মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তিসংক্রান্ত কমিটির সভায় ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করতে পারবেন, এমন সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। সব সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ঢাকার একাধিক বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ভর্তির প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। এরই মধ্যে কয়েকটি বেসরকারি কলেজ সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলছে যে তারা শিক্ষার্থী পাচ্ছে না, আসন খালি পড়ে আছে। ভর্তির সর্বনিম্ন ৪০ নম্বরের নিচে নামালে তারা শিক্ষার্থী পাবে। এসব কলেজে ভর্তি ফি ১০ থেকে ১৪ লাখ টাকা।
সভার কাগজপত্রে দেখা যায়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর পক্ষ থেকে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। অর্থাৎ ওই অনুরোধ রাখলে লিখিত পরীক্ষায় শূন্য পাওয়া শিক্ষার্থীকে তারা ভর্তি করতে পারবে। মূলত তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সব পক্ষের মতামত নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় এই সভা ডেকেছিল।
সভাসূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি আবু শফি আহমেদ আমিন ও রেজিস্ট্রার জেড এইচ বাসুনিয়া, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহমুদ হাসান ও মহাসচিব ইকবাল আর্সলান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন ইসমাইল খানসহ অন্যরা ৪০ নম্বর রাখার পক্ষে সভায় যুক্তি তুলে ধরেন।