মেট্রোরেল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন করছেন পক্ষ ও বিপক্ষের শিক্ষার্থীরা। এতে ক্যাম্পাসে কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাবি রুটে মেট্রোরেলের দাবিতে প্রতীকী চিত্র অঙ্কন ও মানববন্ধনের আয়োজন করে বৈশাখী, চৈতালি রুটের শিক্ষার্থী ও ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ‘সময় বাঁচাও মেট্রোরেল দাও’, ‘মেট্রোরেলে যাব ঢাবি’, ‘মেট্রোরেল আমাদের দাবি’ সহ বিভিন্ন স্লোগান যুক্ত প্ল্যাকার্ড ছিল। তারা মেট্রোরেলের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে অবিলম্বে মেট্রোরেল বাস্তবায়নের দাবি জানান।
তবে একই সময়ে পাশাপাশি অবস্থান করছিল মেট্রোরেল রুট পরিবর্তনের পক্ষের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা মেট্রোরেল হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কী কী ক্ষতি হবে তা তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
মেট্রোরেলের বিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবি, এই মেট্রোরেল হলে বিজ্ঞান অনুষদের জিন প্রকৌশল, সিএসই, অণুজীব বিজ্ঞান ও সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ বিভাগ হুমকিতে পড়বে। বহু বছরের পুরনো রাজু ভাস্কর্যও তার চিরচেনা সৌন্দর্য হারাবে।
এই ট্রেনের শব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও দোয়েল চত্বরের পাশে অবস্থিত বিজ্ঞান লাইব্রেরিতে লেখাপড়া ব্যাহত হবে বলেও দাবি তাদের।
অবশ্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পথের দুই পাশেই বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকবে বিধায় মেট্রোরেল চলাচলে কম্পন এবং শব্দ দূষণ প্রতিরোধেও থাকবে বিশেষ প্রযুক্তি।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী ফাতেমা বাবু বলেন, “ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তন করা সম্ভব হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে কেন পরিবর্তন করা হবে না? আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে নই; আমরাও মেট্রোরেল চাই। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ধ্বংস করে নয়।”
কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুক চিরে কর্তৃপক্ষ একতরফাভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে অভিযোগ করে বৈশাখীর সাধারণ সম্পাদক সৈকত বলেন, “এই রেলের কারণে যে কম্পন হবে তাতে কোনোভাবেই বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবগুলোতে গবেষণা কাজ চালানো যাবে না। মেট্রোরেলের তীব্র শব্দে চমকে উঠবে সবাই।”
সূত্র: ঢাকা টাইম ২৪ ডট কম ডট বিডি