মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় মিলে বিবিএ, এমবিএ, এলএলবি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাশন ডিজাইনসহ বিভিন্ন বিষয়ের সনদ। তাও আবার জাল নয় অরজিনাল। এমনই জালিয়াতির দায়ে আমেরিকা-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির (এবিইউ) দুই সহকারী রেজিস্ট্রারকে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের মোবাইল কোর্ট।
এ সময় জব্দ করা হয়েছে ১১২টি সনদ ও সনদ তৈরির সরঞ্জাম। বুধবার রাতে রাজধানীর মালিবাগে ১০৯ ডিআইটি রোডে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে এ অভিযান চালানো হয়।
জব্দ করা সনদের মধ্যে বিবিএ, এমবিএ, এলএলবি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাশন ডিজাইনসহ বিভিন্ন বিষয়ের অনার্স ও মাস্টার্সের সনদ রয়েছে।
সনদ জালিয়াতির দায়ে দণ্ডিতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী রেজিস্ট্রার সেলিকা সোহাগান জেরিন ও সহকারী রেজিস্ট্রার মাকসুদা আক্তার।
অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়েছেন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর সরদার মজিবর রহমান এবং তার সহযোগী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আদিল।
র্যাবের সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে সনদগুলো বিক্রি করা হতো। চুক্তির পর জুরাইনের একটি বাসায় তৈরি করা হতো সনদ। পরে সেগুলো ক্যাম্পাসে এনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করা হতো। দণ্ডিত দু’জন মূলত সনদ মার্কেটিংয়ের কাজ করতেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আদিলের পূর্ব গোড়ানের ১১৩ নম্বর বাসার চতুর্থ তলায় অভিযান চালিয়ে জাল সনদ তৈরিতে ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার ও বেশ কিছু রেজিস্টার উদ্ধার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানসহ জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জাল সনদ ব্যবসার বিষয়টি জানতে পারে র্যাব। কিছুদিন ধরে নজরদারি ও তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর বুধবার রাতে অভিযান চালানো হয়।
সূত্র: দৈনিক শিক্ষা