শিক্ষাবিদদের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সহজপাঠ্য বই তৈরির বিষয়ে আমারা কাজ করছি। সৃজনশীলকে আরো চমৎকার করার ক্ষেত্রে আপনাদের মূল্যবান মতামত আমাদের সাহায্য করবে। আমরাও চেয়েছি এমসিকিউ বন্ধ করতে, আপনাদের পরামর্শে সে কাজটি আরো ত্বরান্বিত হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, ড. ফরাস উদ্দিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, ৫ম শ্রেণিতে ৬টি বই। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ১২টি বই। আবার দেখা যায় স্কুলের শিক্ষকরা বই লিখে ক্লাসে অন্তর্ভুক্ত করে দেয়। এতে দেখা যায় বই ১৮/২০ হয়ে গেছে। এসব অপ্রয়োজনীয় বই বাদ দিতে হবে।
সৃজনশীলের নামে বইগুলোকে জটিল করা হয়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতে চমৎকার বই প্রণয়ন করতে হবে। পিইসি, জেএসসির নামে কোচিং গাইড বাণিজ্যের সুযোগ হয়েছে। এগুলো বন্ধ করতে শ্রেণিপাঠের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তরা।
নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি এবং শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মারধর বন্ধে নেয়া নীতিমালার কার্যকর প্রয়োগের ওপর জোর দেন উন্নয়নকর্মী রাশেদা কে চৌধুরী। প্রয়োজনে নীতিমালাগুলো প্রত্যেকটি স্কুলে টাঙানোরও পরামর্শ দেন তিনি।