শফিউল আলম বলেন, জনপ্রতি ৩৪ থেকে ৩৭ হাজার টাকা অভিবাসন ব্যয় হবে। তবে সংশ্লিষ্ঠ নিয়োগকর্তাই এ ব্যয় প্রদান করবেন। জিটুজি প্লাস সমোঝতা স্মারক বাস্তবায়ন হলে ২০১২ সালের সমঝোতা স্মারক ও ২০১৪ সালের প্রটোকল চুক্তি বাতিল হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে দুটো চুক্তির পরও নতুন করে কেন জিটুজি চুক্তি করা হচ্ছে?- এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগের চুক্তি দুটি ফেল করেছে। রিক্রুটিং এজেন্সি সম্পৃক্ত না থাকায় প্রত্যাশিত পরিমাণে জনবল পাঠানো যায়নি। এবার এ চুক্তিতে রিক্রুটিং এজেন্সি যুক্ত করা হয়েছে। আশা করছি, এবার কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হবে।’
রিক্রুটিং এজেন্সি মূলত কর্মীদের সার্বিক সহযোগী হিসেবে কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এজেন্সি এর আগে সরকারের তৈরি করা ডাটাবেজ থেকে কর্মী সংগ্রহ করবে। তারপর তাদের প্রশিক্ষণ এবং বায়োমেট্রিক পদ্ধতির কাজও তারা করবেন।’
এর আগে পাঠানো শ্রমিকেরা শুধু প্লান্টেশনে (রাবার বাগান) কাজ করতো। এবার নির্মাণ কাজ, ম্যানুফ্যাকাচারিং, সেবামূলক কাজে শ্রমিক পাঠানো হবে বলে জানান শফিউল আলম।
এ চুক্তি আগামী এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরেই লোকবল পাঠানো শুরু হবে। এবার কর্মী নিয়োগে মধ্যসত্ত্বভোগীদের অংশীদারিত্ব থাকবে না। সেই সঙ্গে কর্মীরা পাবে চাকরির নিরাপত্তা। এখন থেকে এ চুক্তির আওতায় নিয়োগকর্তারা শ্রমিকদের বেতন ব্যাংক একাউন্টে পরিশোধ করবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এদিকে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন আইন-২০১৬ উত্থাপন করা হলেও তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফেরত পাঠানো হয়েছে। আইনটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মূখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির পর্যালোচনা শেষে আবারো এ আইন মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে।