বদলে যাচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান পদ্ধতি। প্রাথমিক শিক্ষা যুগোপযোগী করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে ১৫ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হাসান স্বাক্ষরিত নয়টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা যুগোপযোগীকরণ এখন সময়ের দাবি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন অত্যাবশ্যক। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষার গণগতমান বৃদ্ধি করতে নতুন করে নয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো- ভাষাজ্ঞান বৃদ্ধিতে নিয়মিত পাঠাভ্যাস অত্যন্ত জরুরি। এ কারণে প্রতিদিন বাংলা ও ইংরেজি বই থেকে এক পৃষ্ঠা পঠনের জন্য বাড়ির কাজ দিতে হবে। এক পৃষ্ঠা হাতের লেখা বাড়ি থেকে লিখে আনার কাজ দিতে হবে। প্রথম ক্লাসেই সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষক সব শিক্ষার্থীকে আবশ্যিকভাবে পঠন করাবেন। শিক্ষকরা নিজেরা শিশুদের সঙ্গে উচ্চারণ করে পাঠ করবেন। এতে শিক্ষার্থীদের উচ্চারণ জড়তা দূর এবং প্রমিত উচ্চারণ শৈলী সৃষ্টি হবে। উচ্চারণ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনোবল বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় উদ্যোগও নিতে হবে।
বুক কর্নার ও এসআরএমের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম একটি বাংলা ও ইংরেজি শব্দ পড়া, বলা ও লেখা শেখাতে হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের ভাষার ভান্ডার বৃদ্ধি এবং বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে ও লিখতে পারবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ইন্সট্রাক্টর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বিভাগীয় উপ-পরিচালকরা এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা- তা মনিটরিং করবেন।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় ভিজিটে দেখা গেছে শিশুরা বাংলা ও ইংরেজিতে যথাযথভাবে পড়তে, বলতে ও লিখতে পারে না। অথচ তারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চতর শ্রেণিতে ভর্তি হচ্ছে। কিন্তু ভাষাজ্ঞান অপরিণতই থেকে যাচ্ছে। তাই শিশুদের গুণগত শিক্ষা, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পঠন ও লিখন শৈলী নিশ্চিত করতে নতুন করে কয়েকটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে ক্লাসে পাঠদানের ধরন বদলে যাচ্ছে। প্রতিদিন বাংলা-ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নতুনভাবে জ্ঞানদান করতে হবে। বিদ্যালয়ে বিষয়গুলো মূল্যায়ন করা হচ্ছে কিনা- তা মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা মনিটরিং করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মাধ্যমে মাসিক প্রতিবেদন জমা দেবেন।