আগামী মাস থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজন করতে যাচ্ছে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ জানান, গত বছর মেলায় ছোট-বড় ৬০০টির বেশি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্টল ছিল। এ বছর স্টলের সংখ্যা আরও বাড়বে। মেলা চলাকালে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড় সামালাতে প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত কর্মীর পাশাপাশি খণ্ডকালীন বিক্রয়কর্মী বা বিক্রয় সহযোগী নিয়োগ করে থাকে। মেলায় বিক্রয়কর্মীর পাশাপাশি কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ক্যাশিয়ার, জনসংযোগ ইত্যাদি পদেও জনবল নিয়ে থাকে।
এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান ফেসবুকে তাদের নতুন নতুন বইয়ের প্রচারের জন্য মেলার পুরো সময়জুড়ে অস্থায়ী লোক নিয়োগ করছে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ করা হয়। আর এসব কর্মীর প্রায় বেশির ভাগই নেওয়া হয় কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে। বইমেলায় কাজের জন্য এরই মধ্যে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো সিভি সংগ্রহ শুরু করেছে। বেশির ভাগ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানই ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে লোক নিয়ে থাকে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাই খোঁজখবর নিয়ে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে আপনিও পেয়ে যেতে পারেন বইমেলায় খণ্ডকালীন এক মাসের চাকরি।
প্রথমা প্রকাশনের বিক্রয় ব্যবস্থাপক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসের এই বইমেলায় আমাদের পাঠকদের চাহিদা মেটাতে আমরা এক মাসের জন্য বিক্রয় সহযোগী নিয়োগ করি। গত বছর আমরা আমাদের স্টলে ১০ জন খণ্ডকালীন বিক্রয় সহযোগী নিয়োগ করেছিলাম। এ বছরও সিভি সংগ্রহ করা হচ্ছে। সিভি যাচাই-বাছাই করে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে এ বছরও কিছু বিক্রয় সহযোগী নিয়োগ করা হবে। আর বইমেলায় বিক্রয়কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তরুণেরাই বেশি অগ্রাধিকার পান। শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখা হয় সর্বনিম্ন এইচএসসি পাস।
একই কথা জানালেন সময় প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ। তিনি বলেন, বইমেলায় খণ্ডকালীন বিক্রয়কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে এমনিতে পত্রপত্রিকায় তেমন একটা বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় না। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।
কয়েকজন প্রকাশকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন বইমেলা শুরু হয় বেলা তিনটা থেকে। চলে রাত আটটা পর্যন্ত। তবে ছুটির দিনগুলোতে মেলা বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। মেলা চলাকালে বিক্রয় সহযোগীদের পুরো সময় স্টলে থাকতে হয়। দোকানের বইগুলো ক্রেতার কাছে সুন্দরভাবে প্রদর্শন করতে হয়। সেই সঙ্গে পাঠক-ক্রেতাদের চাহিদা ও পছন্দের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখতে হয়। সংশ্লিষ্ট প্রকাশনা সংস্থার বই, লেখক ও পাঠকদের সম্পর্কে বাড়তি জ্ঞান রাখতে হয়।
মেলায় খণ্ডকালীন ভিত্তিতে কাজ করে আয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকাশকেরা জানান, মেলায় প্রত্যেক বিক্রয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান ভেদে এই এক মাসে অনায়াসে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা সম্মানী হিসেবে আয় করতে পারেন। এ ছাড়া দুপুরের খাবার, সন্ধ্যার নাশতাসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।
সূত্র: প্রথম আলো