জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট(জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলেক্ষে সংবাদ সম্মেলনে দুই মন্ত্রী একথা জানিয়েছেন।গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মঙ্গলবার সকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসরাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান পরীক্ষার ফল তুলে দেন। এরপর সচিবালয়ে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন দুই মন্ত্রী।
চলতি বছরে এইচএসসি, জেএসসি-জেডিসি এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের গুরুতর অভিযোগ আসে। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ইংরেজি প্রথমপত্রের পরীক্ষা নতুন করে নেওয়া হয়।
বর্তমানে দেড় মাস ধরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা চলে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভবিষতে দেড় মাস ধরে আর পরীক্ষা চলবে না, আরো সংক্ষিপ্ত করব। নানা অপরাধী তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে অপকর্ম করে।
পাশাপাশি সব ছেলে মেয়েদের স্কুলে আসা এবং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য সিলেবাস ও পাঠদান উন্নত করতে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এছাড়া শিক্ষক সংখ্যা এবং শিক্ষকের গুণগত বাড়াতে হবে, তবে সীমাবদ্ধতার কারণে পারি না। আস্তে আস্তে আমরা তা কাটিয়ে উঠছি জানিয়ে নাহিদ বলেন, শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে প্রাথমিকে বৃদ্ধির সংখ্যা কম থাকলেও এবার বাড়ানো হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
প্রাথমিক সমাপনীর প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ থাকলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে মিটিং করেছি। সামনের বার ম্যানুয়ালি প্রশ্ন দেওয়া হবে না, পরীক্ষার এক দিন আগে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছাপিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহ করব। আগামীতে প্রশ্ন ফাঁসের প্রসঙ্গ আসবে না।এবার মাত্র একটি সেট দিয়ে সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছিল আর্থিক সংকটের বেশি সেট ছাপানো যায়নি। বেশি সেট থাকলে কোনো কারণে একটি সেট দিয়ে প্রশ্ন না নেওয়া সম্ভব হলে বিকল্প সেট দিয়ে প্রশ্ন নেওয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী আখতার হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীরসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।