বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশে শিক্ষার হার ৬১ শতাংশ বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি জাতীয় পার্টির সদস্য বেগম সালমা ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদকে একথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযোগী ৯৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝরে পড়ার হার কমে ২০ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে এবং শিক্ষাচক্র সমাপনের হার ৭৯ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে সাধারণ গ্রেডে ৩৩ হাজার এবং ট্যালেন্টপুলে ২২ হাজার মোট ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে বৃত্তি দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৩৮ জন এবং পাসের হার শতকরা ৯৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। এ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে ৩ হাজার ৯০১ জন, সহকারী শিক্ষক রাজস্ব পদে ৬৯ হাজার ৪০৪ জন, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য সৃষ্ট পদে ৩৪ হাজার ৮৯৫ জনসহ মোট ১ লাখ ৮ হাজার ২০০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্কুল হেলথ কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ৭১ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আরও ১০ হাজার জনকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ যাবত ৪ হাজার ৯৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, সাউন্ড সিস্টেম ও মডেম সরবরাহ করা হয়েছে। গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জন্য ৪৪ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যকর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৯৮২ জন শিক্ষককে ডিপিএড এবং ৪৩ হাজার ৬০৪ জন শিক্ষককে সি-ইন-এড প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ২১ হাজার ৬৩০ জন শিক্ষককে আইসিটি ইন এডুকেশন এবং ৩৮ হাজার ২০০ জন প্রধান শিক্ষককে লিডারশিপ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় এ বছর আরও ৫ লাখ ৪৫ হাজার ১১৩ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।