চার রঙের নতুন বইয়ের মোড়কে সারাদেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ (রোববার) পালিত হচ্ছে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব। দেশব্যাপী শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে নতুন গন্ধে, নতুন স্বপ্নে মেতে উঠছে আজ।
রোববার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এতে মেতে উঠেছে শিশু শিক্ষার্থীরা।
বছর শুরুর দিন সকালে কোমলমতি শিশুরা নতুন বই হাতে পেয়ে উৎসবে মেতে উঠেছে। এ উপলক্ষে ঢাবি খেলার মাঠে তৈরি করা হয়েছে লাল-সবুজের মঞ্চ। মাঠের আকাশে উড়ছে নানা রঙয়ের বেলুন, শিশুদের হাতে হাতে লাল রেশমি ফিতার ওড়াউড়ি। সব মিলিয়ে খেলার মাঠ পেয়েছে উৎসবের আমেজ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মডেল মম, চিত্রনায়ক ফেরদৌসসহ অভিভাবকরা।
এর আগে রোরবার সকাল সাড়ে ৯টায় আজিমপুর গভঃ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
জানা গেছে, ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ২ কোটি ৪৯ লাখ ৮৩ হাজার ৯৯৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মোট ১১ কোটি ৫৫ লাখ ২৬ হাজার ৯৫২ পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে।
এছাড়া দেশের মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ উৎসব পালিত হবে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উৎসবে উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের জন্য নিজস্ব বর্ণমালা সম্বলিত মাতৃভাষায় পাঠ্যবই প্রণয়ন এবং সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালেই প্রথম প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে সারা দেশে ৫টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, সাদরী) শিক্ষার্থীরদের মাঝে ৮ ধরনের পঠন-পাঠন সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। এরমধ্যে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৯ জন ইবতেদায়ী, দাখিল, দাখিল কারিগরি, এসএসসি ভোকেশনাল, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে এসব বই বিতরণ করা হবে।