নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরিরের সাত সদস্যসহ ১৬ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বহিষ্কার ১৬ জনের মধ্যে সাতজন নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরির সদস্য। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের কক্ষে লিফলেট বিতরণ করতে দেখে তাদের চিহ্নিত করা হয়।
বহিষ্কৃত হিযবুত সদস্যদের মধ্যে পাঁচজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে।
তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী নূরে আলম মো. সিহাব উদ্দিন ও মো. সাইদি হাসান সজীব, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র তরিকুল ইসলাম, স্নাতকের নকিব ফারহান ও মো. আলমগীর হোসেন।
সিহাব সূর্যসেন হলের এবং সজীব বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
প্রক্টর বলেন, জুনের শেষদিকে সিহাব উদ্দিন ও সাইদি হাসান সজীবের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে হিযবুত তাহরিরের লিফলেট বিতরণের দৃশ্য ভবনের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে ৭ জুলাই সিহাবের সঙ্গে তরিকুল, নকিব ও আলমগীরকে প্রচারপত্র বিলি করতে দেখা গেছে ফুটেজে।
এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে যে ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তাদের সবাইকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে প্রক্টর জানান।
এরা সবাই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানান তিনি।
এদের বাইরে গভীর রাতে টিএসসিতে এক নারীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় একজন এবং লাঞ্ছনাকারী শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষ ভাংচুরের ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সাদ্দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ভাংচুরের ঘটনার পরই হল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়েছিল।
প্রক্টর বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বান্ধবীকে ধর্ষণের ভয় দেখিয়ে তার বন্ধুর কাছ থেকে এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ায় রাজিব বাড়ৈ নামে একজনকে আজীবন বহিস্কার করা হয়েছে।
রাজীব বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও বুড্ডিস্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদক ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষককেও বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জানিয়েছেন।
বহিষ্কৃত আশরাফ উজ জামান সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি জার্মান দূতাবাসে চাকরি করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উপাচার্য জানিয়েছেন।