ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি বিভাগে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে মাত্র ২ জন পরীক্ষার্থী। এ বিভাগে ‘খ’ ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তির আবেদনকারীদের জন্য মোট আসন ১২৫টি।
ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। ‘খ’ ইউনিটের ফল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয়। পাসের হার ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ফেল করেছে ৯০ দশমিক ৪৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী।
‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৫টি অংশ ছিল। এগুলো হল- সাধারণ ইংরেজি, বাংলা, ইলেক্টিভ ইংলিশ, সাধারণ জ্ঞান ‘এ’ ও সাধারণ জ্ঞান ‘বি’। শিক্ষার্থীদের ৫টির মধ্যে ৪টি অংশ নিজেদের যোগ্যতাসাপেক্ষে নির্বাচন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রত্যেক বিষয়ে মোট ২৫টি প্রশ্নে ৩০ নম্বর। ১ ঘণ্টায় মোট ১২০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪৮। পাশাপাশি প্রত্যেক বিষয়ে ন্যূনতম ৮ নম্বর করে পেতে হবে।
ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়, ইংরেজি বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় পাসসহ সাধারণ ইংরেজিতে ২০ নম্বর পেতে হবে। তবে ভর্তি পরীক্ষার তিন দিন আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষায় উত্তরপত্রের বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইংরেজি বিভাগে ভর্তিচ্ছুকদের জন্য ইলেক্টিভ ইংলিশ অংশের উত্তর দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। ইংরেজি বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সাধারণ ইংরেজিতে ২০ নম্বর পাওয়ার পাশাপাশি ইলেক্টিভ ইংলিশে ১৫ নম্বর পেতে হবে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ দুটি শর্ত মাত্র ২ জন শিক্ষার্থী পূরণ করতে পেরেছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সদরুল আমিন বলেন, ইংরেজি বিভাগে ‘খ’ ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তির আবেদনকারীদের জন্য আসন সংখ্যা ১শ’ ২৫টি। এ বছর এ বিভাগে ‘খ’ ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তির আবেদনকারী অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভর্তির যোগ্যতা অর্জনের বিষয়টি আমিও শুনেছি। শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়াশুনা না করায় এমনটা ঘটেছে। শিক্ষার মান দিন দিন কমে যাচ্ছে।
ঢাবির ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাহমিনা আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে বলেন, ‘আমি অসুস্থতার কারণে ছুটিতে আছি। আমি এখনও এ বিষয়ে কিছু জানি না।’
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাবির ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষক দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘মাত্র দুজন শিক্ষার্থীর ইংরেজি বিভাগে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করার বিষয়টি সত্যিই হতাশাজনক।’
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এ প্রসঙ্গে দ্য রিপোর্টকে বলেন, বিষয়টা আমিও শুনেছি। পরবর্তী সময়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে করণীয় ঠিক করা হবে।
প্রসঙ্গত, ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি নির্দেশিকা থেকে জানা যায়, ২০০৯ কিংবা পরবর্তী সালে মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ২০১৩ অথবা ২০১৪ সালে মানবিক বিভাগ থেকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই কেবল ‘খ’ ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় বাদে জিপিএ ৭ পেতে হবে।