১। পদার্থ, রসায়ন, গনিত, জীববিজ্ঞান এই চারটি বিষয়ের উপর ১২০ মার্কস এর MCQ পরিক্ষা দিতে হবে। তবে কেউ যদি চায়, উচ্চ মাধ্যমিক এ শুধুমাত্র অপশনাল বিষয় এর পরিবর্তে বাংলা অথবা ইংলিশ উত্তর করতে পারবে।
সময়ঃ ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। অর্থাৎ প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য সময় পাওয়া যাবে মাত্র ৪৫ সেকেন্ড।তবে প্রশ্নগুলো এমনভাবে করা হয় যেন অল্প সময়েই উত্তর করা যায়। তাই প্রশ্নের উত্তরগুলোর আকার অবশ্যই ছোট হবে। ২/৩ স্টেপ এর বড় অংকগুলো পরিক্ষায় আসবেনা।
২। ভর্তি পরীক্ষায় অনশগ্রহন করার জন্য SSC ও HSC তে প্রাপ্ত GPA দ্বয়ের যোগফল (৪র্থ বিষয় সহ) ন্যূনতম ৮.০০ হতে হবে।
৩। GPA এর উপর মোট ৮০ নম্বরঃ SSC GPA কে ৬ দিয়ে গুণ + HSC GPA কে ১০ দিয়ে গুণ । গত বছরের নিয়ম অনুযায়ী, GPA অপশনাল সহ হিসাব করা হয়।
৪। পরিক্ষায় কেলকুলেটর ব্যাবহার করা যাবেনা। তবে ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই- এমন প্রশ্ন বা প্রশ্নে এমন ডাটা দেওয়া থাকবে যাতে কেলকুলেটর ব্যাবহার করার প্রয়োজন না পরে। তবে যে কেলকুলেশন গুলো আমরা সচারচর হাতে করতে অভ্যস্ত নই এমন কিছু কেলকুলেশন হাতে করার প্র্যাকটিস করতে হবে ।
৫।মুখস্থ ভিত্তিক কোন প্রশ্ন পরিক্ষায় আসে না। বেসিক কনসেপ্ট/ টপিক থেকেই প্রশ্ন হয়। বেসিক কনসেপ্টগুলো আয়ত্ত করতে পারলে খুব সহজেই পরিক্ষায় উত্তর করা যাবে।
৬।গত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবং এ বছরের সমগ্রিক প্রেক্ষাপটে বলা যায় ১২০ মার্কস এর পরিক্ষায় ৬৫+ পেলে চান্স পাওয়া যাবে এবং ৮৫+ পেলে মেধা তালিকার উপরে দিকে থাকা যাবে এবং যেকোনো বিষয় এ ভর্তি হউয়া যাবে।
৭। পরিক্ষায় ১২০ টি প্রশ্নের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ টি কঠিন প্রশ্ন হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে এই ১০/১৫ টি প্রশ্নের উপর তোমার চান্স পাওয়া বা ভাল সাবজেক্ট পাওয়া নির্ভর করেনা। তাই অযাচিত টপিক পরে সময় নষ্ট করোনা। প্রয়োজনীয় টপিকগুলো বারবার চর্চা করতেঁ হবে।
৮। হাজার হাজার প্রশ্ন মুখস্থ করে পরিক্ষায় ভালো করা সম্ভব না। প্রয়োজনীয় টপিকগুলোর কনসেপ্ট ক্লিয়ার করতে পারলে হাজার হাজার প্রশ্নের উত্তর করতে পারবে।
৯। অযথা, অপ্রয়োজনীয়, মাথা বোঝাইকারি টেকনিক এর পেছনে ছুটলে ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছু হবেনা। শুধুমাত্র এমন টেকনিকগুলো আয়ত্ত করা উচিত যেগুলো পরিক্ষায় প্রয়োগযোগ্য।
১০। ১.ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ক’ ইউনিট ছাত্রছাত্রীদের জন্য মোট আসন সংখ্যা- ১৬৬০ টি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ক’ ইউনিট এ পরীক্ষা দিয়ে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা মোট ২৮ টি ডিপার্টমেন্ট এ ভর্তি হতে পারবে। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের আসন সংখ্যাঃ
বিজ্ঞান অনুষদঃ
১. পদার্থ বিজ্ঞান- ১৪০
২. গণিত- ১৩০
৩. রসায়ন- ৯০
৪. পরিসংখ্যান, প্রান পরিসংখ্যান ও তথ্য পরিসংখ্যান- ৮৮
৫. ফলিত গণিত- ৬০
জীববিজ্ঞান অনুশদঃ
১. মৃত্তিকা, পানি পরিবেশ- ১২০
২. উদ্ভিদ বিজ্ঞান- ৭৫
৩. প্রাণীবিদ্যা – ১০০
৪. প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রান বিজ্ঞান- ৬০
৫. মনোবিজ্ঞান- ৪৫
৬.অনুজীব বিজ্ঞান-৪০
৭. মৎস্য বিজ্ঞান- ৩০
৮. জীন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি- ১৭
ফার্মেসি অনুষদঃ
১. ফার্মেসি
আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সস অনুষদঃ
১.ভূগোল ও পরিবেশ- ৫০
২. ভূতও -৫০
৩. সমুদ্র বিজ্ঞান- ২০
৪. দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা- ৩০
ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদঃ
১. ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং- ৭০
২. ফলিত রসায়ন এন্ড কেমি কৌশল- ৬০
৩. কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং- ৬০
৪. নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং -২৫
পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটঃ
১. ফলিত পরিসংখ্যান- ৫০
পুষ্টি খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটঃ
১. পুষ্টি খাদ্যবিজ্ঞান- ৩৫
তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটঃ
১.সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং- ৩০
লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটঃ
১. লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং- ৪০
২. ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং –৪০
৩. লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং-৪০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ক’ ইউনিটের বিগত বছরের প্রশ্ন জানতে ক্লিক করুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক ইউনিট পূর্ববর্তী প্রশ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের মডেল টেস্ট দিতে ক্লিক করুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক ইউনিট মডেল টেস্ট
<< উপরের তথ্যগুলো গত বছরের নিয়ম অনুযায়ী লিখা। ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে।>>