এখন বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হয় আমাদের একমাত্র দেশীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক এর প্রিপেইড সিম থেকে। কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন প্রক্রিয়া। তো চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন এর পদ্ধতি কেমন?
এসএমএস পদ্ধতি: প্রথম ধাপ- এই ধাপে একটা টেলিটক সিম যুক্ত মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে-
বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের কোড স্পেস দিয়ে এইচএসসি শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস দিয়ে এইচএসসি রোল নম্বর স্পেস দিয়ে এইচএসসি পাশের সন স্পেস দিয়ে এসএসসি শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস দিয়ে এসএসসি রোল নম্বর স্পেস দিয়ে এসএসসি পাশের সন স্পেস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ইউনিটের ফরম তুলবেন তার কীওয়ার্ড।
এরপর পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
ধরুণ আপনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করবেন, ঢাকা বোর্ড থেকে ২০১৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় আপনার রোল ১২৩৪৫৬ এবং ২০১২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় আপনার রোল ছিল ৭৮৯০১২ তাহলে আপনাকে এসএমএস এ লিখতে হবে
JU<স্পেস>DHA<স্পেস>123456<স্পেস>2014<স্পেস>DHA<স্পেস>789012<স্পেস>2012<স্পেস>C
(শেষের C হল আপনি C ইউনিটের ফরম তুলতে চাচ্ছেন)।
কোটার ক্ষেত্রে এই এসএমএস এর শেষে স্পেস দিয়ে কোটার কীওয়ার্ড দিতে হবে।
যেমন মুক্তিযোদ্ধা কোটা যদি FFQ উল্লেখ থাকে তাহলে লিখতে হবে:
JU<স্পেস>DHA<স্পেস>123456<স্পেস>2014<স্পেস>DHA<স্পেস>789012<স্পেস>2012<স্পেস>C<স্পেস>FFQ
দ্বিতীয় ধাপঃ এসএমএস পাঠানোর পর সকল তথ্য সঠিক হলে আবেদনকারীর নাম, ভর্তি পরীক্ষার ফি এবং একটি পিন কোড জানানো হবে।
আবেদন করতে সম্মতি জানানোর জন্যে আপনাকে আবার লিখতে হবে-
বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের কোড<স্পেস>YES<স্পেস>প্রাপ্য পিন কোড<স্পেস>যে মোবাইল নম্বরে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে তার নম্বর।
এক্ষেত্রে আপনার যে নম্বরটি সবসময় ব্যাবহার করেন সেই নম্বরটিই দিবেন। এসএমএসের জন্যে ব্যবহৃত নম্বর না দিলেও চলবে।
আপনার মোবাইলে পর্যাপ্ত টাকা থাকলে টাকা কেটে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই আপনাকে একটি রোল নম্বর প্রদান করা হবে। আপনার কাজ শেষ। এখন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্ত অনুসারে ভর্তি পরীক্ষার সময় আপনাকে সঙ্গে করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং কিছু কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড: এসএমএস এর মাধ্যমে যেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যাচ্ছে সেগুলোর কোড নিচে দেওয়া হলোঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (CU),
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (JNU),
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (JU),
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (RU),
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (KU),
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (IU),
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (COU),
জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় (KNU),
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (BRUR),
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (BU),
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট (SUST),
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (JUST),
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (PSTU),
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল (MBSTU),
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর (HSTU),
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(NSTU),
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (PUST),
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RUET),
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (CUET),
বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BSMRSTU),
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (BAU),
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (SAU),
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (SYLAU),
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (CVASU),
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (BSMRAU)
বোর্ডের নামের কোড: বিভিন্ন বোর্ডের নামের প্রথম ৩ অক্ষরই হবে ঐ বোর্ড এর নামের কোড। নিচে সকল বোর্ড এর নামের কোড তুলে দেওয়া হলোঃ
ঢাকা বোর্ড (DHA), চট্টগ্রাম বোর্ড (CHI),
রাজশাহী বোর্ড (RAJ),
কুমিল্লা বোর্ড (COM), দিনাজপুর বোর্ড (DIN),
যশোর বোর্ড (JES), সিলেট বোর্ড (SYL),
বরিশাল বোর্ড (BOR),
মাদ্রাসা বোর্ড (MAD),
ও এবং এ লেভেলের জন্যে (GCE) এবং
অন্যান্যদের জন্যে (OTH)