চাকরির জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে হলে সর্বদা খেয়াল রাখা প্রয়োজন যে এটি যেন আকর্ষণীয় হয়। এতে যদি গুরুত্বর্পূ তথ্যঘাটতি থাকে কিংবা পাঠযোগ্য না হয় তাহলে চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এ কারণে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ রাখা উচিত জীবনবৃত্তান্ত বানানোর সময়।
কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন
প্রতিটি পেশায়ই কিছু নির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার করা হয়, যা অন্যান্য পেশা থেকে আলাদা। একইভাবে আপনি যে চাকরির জন্য আবেদন করছেন, তা কিছু নির্দিষ্ট শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এ বিশেষ শব্দ বা কিওয়ার্ডগুলোর কিছু অন্তত আপনার চাকরির আবেদনে ব্যবহার করুন। এতে নিয়োগকর্তারা বুঝতে পারবেন আপনি সঠিক ব্যক্তি। এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান এখন জীবনবৃত্তান্ত বাছাই করতে কম্পিউটারাইজড পদ্ধতি ব্যবহার করছে। সে ক্ষেত্রে সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার না করলে আপনি চাকরি পাবেন না।
চাহিদা অনুযায়ী জীবনবৃত্তান্ত
আপনি যদি একটি জীবনবৃত্তান্ত বানিয়ে সব চাকরিতে আবেদন করেন তাহলে ভুল করবেন। প্রত্যেক চাকরির জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা প্রয়োজন হয়। আপনি যে চাকরির জন্য আবেদন করছেন, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট যোগ্যতাগুলোই জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ করুন। অন্য যোগ্যতাগুলো উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।
সঠিক বানান ও ব্যাকরণ
জীবনবৃত্তান্তে ভুল কোনো অবস্থায়ই কাম্য নয়। সামান্য বানান ভুল কিংবা ব্যাকরণগত ভুল যদি নিয়োগকর্তাদের চোখে পড়ে তাহলে আপনার চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট হতে পারে।
সংখ্যা ব্যবহার : আপনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি সংখ্যার বিচারে প্রকাশ করুন। অন্যথায় বহু তথ্য দিলেও তা নিয়োগকর্তা ভাসা ভাসা মনে করতে পারে। যেমন—আপনি আগে একটি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিংয়ের দায়িত্বে থেকে বিক্রি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ তথ্যে অস্পষ্টতা থাকে। তবে আপনি যদি লেখেন, ১০ শতাংশ বিক্রি বাড়িয়েছিলেন তাহলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
তথ্য জানান : আপনার গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জীবনবৃত্তান্তের শুরুতে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জানানো প্রয়োজন। অন্যথায় আপনার বিষয়ে অন্ধকারেই থাকতে পারেন নিয়োগকর্তা। এসব তথ্যের মধ্যে আপনার অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা ও অর্জন অল্প কথায় তুলে ধরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
পাঠযোগ্যতা : জীবনবৃত্তান্ত যদি এমনভাবে লেখা হয় যে নিয়োগকর্তা তা পড়তেই পারলেন না, তাহলে আপনার বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন নিয়োগকর্তা। এ কারণে আপনার জীবনবৃত্তান্তে ফন্ট সর্বদা পরিষ্কার হতে হবে। কোনো নকশা করা ফন্ট ব্যবহার চলবে না। লেখা যেন খুব ছোট কিংবা খুব বড় না হয়। ১২ থেকে ১৪ ফন্টের মধ্যে রাখুন। অল্প কিছু বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন, বেশি নয়। এক ইঞ্চি মার্জিন বামে বা জাস্টিফায়েড অ্যালাইনমেন্ট ও স্বাভাবিক মাপের কাগজ রাখুন।
প্রয়োজন অনুযায়ী আকার : জীবনবৃত্তান্ত বড় নাকি ছোট হবে, তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে যান। আপনার যদি অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা বেশি থাকে তাহলে স্বভাবতই জীবনবৃত্তান্ত বড় হবে। সে ক্ষেত্রে একাধিক পাতায়ও কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় বা বাড়তি কথা লিখে তা বড় করা যাবে না।