চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর করার দাবিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এমসি কলেজ ও মদনমোহন কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। শনিবার বেলা ১১টায় নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সংহতি জানিয়ে শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনও মানববন্ধনে অংশ নেন। এতে ‘অবসরের বয়স বাড়ে, প্রবেশে কেন নয়?’ এমন প্রশ্ন তুলে নানা রকম ফেস্টুন প্রদর্শন করা হয়।
প্রায় আধা ঘণ্টা এ কর্মসূচি চলাকালে এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান শরদিন্দু ভট্টাচার্য্য, সহযোগী অধ্যাপক শিরিন আক্তার সরকার, সাধারণ ছাত্র পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মিজান খান, সম্পাদক মিজানুর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক নিলয় গোস্বামী।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবির পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের সর্বত্র চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে। উন্নত বিশ্বে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমাই নেই। কিন্তু এ দেশে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ায় এরপর অনেকেই বেকার হয়ে যান।
প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, একজন শিক্ষার্থীর ২৩ বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সমীকরণটি শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। স্নাতকোত্তর সনদ প্রাপ্তিসহ সর্বসাকল্যে বয়স ২৭ থেকে ২৮ বছর হয়ে যায়। দীর্ঘ শিক্ষাজীবন শেষ করে মাত্র দুই বছর চাকরি সন্ধানের সুযোগ পান। এতে ব্যর্থ হলে অনেকের শিক্ষাজীবন বিফলে যায়। এ জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা জরুরি।
সূত্র: দৈনিক শিক্ষা