কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ প্রায় ১৮ হাজার সদ্য জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকের চাকরি অবসান হয়েছে। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর থেকে তারা চাকরিচ্যুত।
রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের আগে নিয়োগ পাওয়া এস এস সি ও এইচএসসি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগধারী এসব শিক্ষকদের কাম্যযোগ্যতা অর্জনের জন্য কয়েকদফা সময় দেওয়া হলেও ব্যর্থ হয়েছেন প্রায় ১৮ হাজার। সর্বশেষ তাদেরকে তিন বছর সময় দেওয়া হয় তিন বছর আগে যা গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। এ সময়ের মধ্যে তারা পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
চাকরিহারা এসব শিক্ষকরা যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় জাতীয়করণের সময়ে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী তাদের চাকরির অবসান ঘটেছে। এক প্রশ্নের জবাবে আজ বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব মো. হুমায়ূন খালিদ দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘যারা যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ তারা চাকরিতে ডিসকন্টিনিউ করবেন, শর্ত অনুযায়ী।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন যে, তারা পরীক্ষা দিয়েছেন তবে ফল প্রকাশ হয়নি ডিসেম্বর ৩১ তারিখের মধ্যে। আবার কারো কারো ফল প্রকাশ হলেও সার্টিফিকেট তুলে তা জমা দিতে পারেননি।’ এদের সবার এসব যৌক্তিক বিষয় বিবেচনা করার জন্য একটা সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান গণশিক্ষাসচিব। যতক্ষণ না নতুন কোনও সিদ্ধান্ত আসে ততক্ষণ তারা চাকরাবিহীন। বেতন বন্ধ থাকবে।
তবে, কেন যোগ্যতা অর্জন করতে পারলেন না, কতজন পারলেন না তার সঠিক সংখ্যা জানতে হবে। তবে, মন্ত্রণালয়ের একাদিক সূত্র জানিয়েছে, সংখ্যাটি প্রায় ১৮ হাজার হবে। এদিকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দৈনিকশিক্ষার পাঠকেরা জানিয়েছেন কোথাও কোথাও বেতন বন্ধ করা হয়েছে আবার কোথাও কোথাও গোপণে বিল তৈরি করেছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা। আবার কোথাও শিক্ষা কর্মকর্তারাই ভেবে পাচ্ছেন না কী করবেন। তারা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। আবার কেউ কেউ পরীক্ষাই দেননি। তারা মামলা ঠুকে দেওয়ার ধান্দায় রয়েছেন। তারা বলছেন নিয়োগ পাওয়ার পর আবার যোগ্যতার বিচার কেন?
সূত্র: দৈনিক শিক্ষা