গ্লোবালাইজেশনের বর্তমান এ যুগে গোটা বিশ্বই যেন মানুষের হাতের মুঠোয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গতিময়তায় উন্নত, উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশ গুলোর মধ্যে তৈরী হয়েছে অদৃশ্য ভার্চুয়াল মেলবন্ধন। এর ফলে তূলনামূলক পশ্চাৎপদ দেশগুলোর মানুষ উন্নত দেশগুলোতে বসবাসকারী মানুষের জীবন-যাত্রার মানসহ যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছে। আগ্রহ বাড়ছে এসব দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে। অনেকে আবার আরো অগ্রসর হয়ে স্বপ্ন দেখেন এসব দেশে পড়ালেখা করে সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার। তেমনই একটি দেশ হল কানাডা। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য কানাডায় পড়ালেখার বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা ও উচ্চ-শিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক এমন শিক্ষার্থীদের জন্য এ লেখা।
কেন পড়বেন কানাডা: বিশ্বের স্বনামধন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকার একটি বিরাট অংশজুড়ে থাকে কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। দেশটিতে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব ভিক্টরিয়া, ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অবব্রিটিশকলম্বিয়া, ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো ও কুইনস ইউনিভার্সিটির মত সব নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়। সর্বশেষ প্রকাশিত বিশ্ব-র্যাংকিং অনুযায়ী ৯০% এরও বেশী কানাডিয়ান রিসার্চ স্বীকৃতি পেয়েছে। স্বনামধন্য এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও ক্যারিয়ার গঠনে যা বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে।
কিভাবে আপনি উপকৃত হবেন: কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডিগ্রি আপনাকে চাকরির বাজারে অধিকতর যোগ্য বলে উপস্থাপন করবে। দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা তাত্ত্বিক দক্ষতার পাশাপাশি প্রায়োগিক অভিজ্ঞতাকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বিভিন্ন শিল্প ও পেশার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার সেন্টারগুলো শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনের কাজে নিয়োজিত। এসব নানাবিধ সুবিধা আপনাকে চাকরির জন্য যোগ্য করে তুলবে।
কানাডায় স্কলারশীপ: আর্থিকভাবে সচ্ছল শিক্ষার্থীরা কানাডাতে পড়ালেখা করার সুযোগতো পাচ্ছেই। সেইসাথে যারা অসচ্ছল তাদের জন্যও রয়েছে বিভিন্ন স্কলারশীপের ব্যবস্থা। অর্থনৈতিক কারনে যেন কারো উচ্চশিক্ষা বাধাগ্রস্থ না হয় সে ব্যাপারে কানাডার সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সচেতন। কানাডার প্রধান প্রধান স্কলারশীপগুলো হল
ভেনিয়ার কানাডা গ্রাজুয়েট স্কলারশীপ: কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক এমন শিক্ষার্থীদের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় বৃত্তি এটি। কানাডার সরকার এ বৃত্তি দিয়ে থাকে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে বছরে ৫০০০০ কানাডীয় ডলার দেয়া হয়। মেয়াদ তিন বছর। সাধারণত পিএইচডি গবেষণার জন্য এ বৃত্তি দেয়া হয়। ভেনিয়ার কানাডা গ্রাজুয়েট স্কলারশীপ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য নিচের লিংক ব্রাউজ করুন –http://goo.gl/JgFnNx
আইডআরসি ডক্টরাল রিসার্চ এ্যাওয়ার্ড: এ বৃত্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পায়। প্রতিবছরই এ বৃত্তি প্রদান করা হয়। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য এইলিংক ব্রাউজ করুন- http://goo.gl/5EvIbc
ভিজিটিং ফেলোশীপ ইন কানাডিয়ান গভমেন্ট ল্যাবরেটরীজ: এ ফেলোশীপ প্রো্গ্রাম উন্নয়নশীল দেশের তরুণ বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদেরকে কানাডার গভমেন্ট ল্যাবরেটরীতে কাজ করার সুবর্ণ সুযোগ করে দেয় । এ সংক্রান্ত আরো তথ্যের জন্য এই লিংক ব্রাউজ করুন- http://goo.gl/13NVaB
এ ছাড়া আরো কিছু জনপ্রিয় স্কলারশীপ প্রোগ্রাম হল-
- ইন্ডাস্ট্রিয়াল পোস্টগ্রাজুয়েট স্কলারশীপ প্রোগাম
- ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইন্টার্নশীপ (আইআরডআই) প্রোগ্রাম
- রিসার্চ এ্যাসোসিয়েট প্রোগ্রাম