দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন।
পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের ফোন, হাতঘড়িসহ যে কোনো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধজ্ঞার পাশাপাশি এবারই প্রথম শিক্ষকদেরও স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে শিক্ষা প্রশাসন।
রোববার প্রথম দিন এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র, আলিমের কুরআন মজিদ এবং বিএম/ভোকেশনালের বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ৯ জুন। ১১ থেকে ২০ জুন হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা নিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে গতকাল শনিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবুবক্কর ছিদ্দিক সমকালকে জানান, পরীক্ষা হলে শিক্ষকদেরও স্মার্ট ফোন বা ক্যামেরাযুক্ত ফোন ব্যবহারে নিষেধজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার আগে প্রশ্নের ছবি তুলে যেন বাইরে না পাঠাতে পারে, সেজন্যই এমন ব্যবস্থা।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯১ হাজার ৫৯১, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এক লাখ দুই হাজার ১৩২ ও ডিআইবিএসে (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) চার হাজার ৭৯৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছে। সারাদেশে আট হাজার ৫৩৩টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা দুই হাজার ৪৫২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিদেশে সাতটি কেন্দ্রে ২৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
নতুন ছয়টি বিষয়ের ১১টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ায় এ বছর ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী ও হাত নেই, এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ধরনের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। এ ছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় ও পরীক্ষার কক্ষে অভিভাবক বা শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।