সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালায় ‘ক্যাচমেন্ট এলাকায়’ ৪০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে এবারও প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি করাতে বলা হয়েছে।রোববার (০৬ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঢাকা মহানগরীর বিদ্যালয়গুলোর ‘ক্যাচমেন্ট’ এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করে দিয়ে বাকি ৬০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরকে (মাউশি) ঢাকা মহানগরীর সরকারি বিদ্যালয়ের জন্য ‘ক্যাচমেন্ট’ এলাকা নির্ধারণ করে দিতে বেলা হয়েছে।নীতিমালা অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে। এবারও প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ছাড়াও অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিশুর বয়স এবারও কমপক্ষে ছয় বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির শূন্য আসনে ভর্তির জন্য লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে শিক্ষার্থী বাছাই করতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তিতে মোট আসনের ১০ শতাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে।জেএসসি-জেডিসির ফলের ভিত্তিতে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছেলে-মেয়ে এবং ছেলে-মেয়ের সন্তানদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া প্রতিবন্ধী কোটা ২ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ২ শতাংশ এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে।কোটার ক্ষেত্রে প্রার্থী পাওয়া না গেলে সাধারণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে ভর্তি করানো যাবে।
কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী সহোদর বা যমজ যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে তবে ভর্তিতে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। দুই সন্তানের জন্যও এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে।শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ঢাকায় মাউশি মহাপরিচালক, জেলায় জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভর্তি কমিটিসহ, পরীক্ষার তারিখ ও সময়, ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি, ভর্তি ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।