২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ হবে বৃহস্পতিবার (২৫ জুন)। এসএমএস এবং প্রথমবার অনলাইনে আবেদনের কারণে যারা ব্যর্থ হয়েছেন তাদের নতুন করে সুযোগ দেবে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আসফাকুস সালেহীন বুধবার গণমাধ্যমে বলেন, বৃহস্পতিবার যেকোনো সময় মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
অনলাইন এবং এসএমএসে আবেদনের প্রক্রিয়াটি দেখভাল করছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। তবে কারিগরি জটিলতায় কেউ কেউ কলেজ ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারেননি।
আসফাকুস সালেহীন বলেন, মনোনীতদের তালিকা প্রকাশের পর আবার নতুন করে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে। আমরা চাই কোনো ছাত্র-ছাত্রী যেন বাদ না যায়।
পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড প্রার্থীদের তালিকা এসএমএস, স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ডসমূহের ওয়েবসাইট ও www.xiclassadmission.gov.bd প্রকাশ করবে।
গত ৩০ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর গত ৬ জুন থেকে অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। ২১ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করে ১১ লাখ ৫৬ হাজার শিক্ষার্থী।
এদিকে মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, বিলম্ব ফি ছাড়া ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে। আর বিলম্ব ফি দিয়ে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি চলবে।
ভর্তি শেষে ১ জুলাই একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।
৬ অধ্যক্ষকে ডেকেছে শিক্ষাবোর্ড
শিক্ষার্থীর অজান্তে নিজ কলেজের নাম সবার আগে দিয়ে অনৈতিকভাবে আবেদনের দায়ে ছয় কলেজ অধ্যক্ষকে শোকজের পর শুনানির জন্য ডেকেছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সকালে বোর্ডের চেয়ারম্যানের দপ্তরে শোকজের শুনানী অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক।
কলেজগুলো হলো: নারায়নগঞ্জের আমলাপাড়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা দক্ষিণখান মোল্লারটেক উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, টঙ্গীর শাহাজ উদ্দিন সরকার মডেল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টঙ্গী সিটি কলেজ, নরসিংদীর সাটিরপাড়া কে কে ইন্সটিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা উত্তরার মাইলেসিয়াম কলেজ।
শিক্ষার্থীর অজান্তে তার পক্ষে অনৈতিকভাবে নিজ কলেজের নাম তাদের পছন্দের অনুক্রমের তালিকায় ১ নম্বর ক্রমিকে বা একমাত্র পছন্দ রেখে আবেদন পাঠানোর অভিযোগে গত ১১ ও ১৫ জুন ছয় কলেজকে শোকজ করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। ৩ দিনের মধ্যে তাদের শোকজের জবাব দিতে বলা হয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক বলেন, তারা সবাই জবাব দিয়েছে। কেউ কেউ বলেছে অন্য কেউ আবেদন করে থাকতে পারে, নিজেদের অজান্তেই বিষয়গুলো ঘটেছে।
প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বাতিল, স্বীকৃতি বাতিল, এমপিও বাতিলের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা কেন হবে না- তার জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
আবেদন বঞ্চিতদের অভিযোগ, কারিগরি দুর্বলতার কারণে একজন প্রার্থীর রোল নম্বর দিয়ে অন্য যে কেউই আবেদন করতে পারে। এতে তার রোল নম্বরটি ইনভেলিড হয়ে যায়।
সাময়িকভাবে উপজেলা/ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে এ সমস্যা কিছুটা সমাধান করা গেলেও বঞ্চিত রয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। এসব প্রার্থীর আবেদনের সুযোগ করে দেবে শিক্ষা বোর্ড।