একই দিনে চার নিয়োগ পরীক্ষা, বেড়েছে অনুপস্থিতি

একই দিনে চার নিয়োগ পরীক্ষার প্রভাব পড়েছে পরীক্ষার হলে প্রার্থীর উপস্থিতির সংখ্যায়। অন্যবারের তুলনায় এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিতি কম ছিল বলে জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

Get-Ready-for-the-Admission-Fight-of-Public-University

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দিন শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বেসরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের নিবন্ধন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ও সমবায় অধিদফতরের সহকারী পরিদর্শক পদেও নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এ ব্যাপারে রোববার (৩০ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কাকতালীয়ভাবে এ চারটি পরীক্ষা একই দিনে পড়ায় এসব পরীক্ষার হলে প্রার্থীর উপস্থিতিতে প্রভাব পড়েছে।

চারটি নিয়োগ পরীক্ষায় মোট চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে তিন লাখ। এক দিনে চার পরীক্ষা নিয়ে আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন এসব প্রার্থীরা।

প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১৭ জেলায় লিখিত পরীক্ষায় বৈধ প্রার্থী ছিলেন এক লাখ ৬১ হাজার ৩২১ জন। বিকেল ৩টা থেকে ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত এ পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ২০ হাজার ৮৭০ জন।

পরীক্ষায় উপস্থিতি ৭৫ শতাংশ জানিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, অন্যবারের তুলনায় এবার উপস্থিতি অনেক কম। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ উপস্থিতি থাকে। আগের একটি পরীক্ষায় ৭৮ শতাংশ উপস্থিতি থাকলেও এবার তা কমেছে।

একই দিনে বেসরকারি স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষাসহ বেশ কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষার কারণে উপস্থিতিতে এ প্রভাব পড়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

জয়পুরহাট, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, বাগেরহাট, শেরপুর, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা ও পঞ্চগড় জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অধীনে বেসরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের নিবন্ধন পরীক্ষায় উপস্থিতি বেড়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা জানান, এবার স্কুল পর্যায়ে নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিতি প্রায় ৮৭ শতাংশ। অন্যবার ৮১ থেকে ৮২ শতাংশ উপস্থিতি থাকলেও স্কুলের চাকরিতে আগ্রহ বেশি থাকায় এই হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্কুল পর্যায়ের পর দিন ২৯ আগস্ট কলেজ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রার্থী ছিলেন ৪১ হাজার ২০৩ জন, সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত স্কুল ও স্কুল-২ পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় অনেকে আবেদন করেও অংশ নিতে পারেননি।

একই দিন কৃষি ব্যাংক এবং সমবায় অধিদফতরের দুটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের।