সারাদেশে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ লাখের বেশি দরিদ্র শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাবে। উপবৃত্তির এ টাকা বার্ষিক দুই কিস্তিতে ৪০ শতাংশ ছাত্রী ও ১০ শতাংশ ছাত্রকে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। জুন থেকে এ অর্থ শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে। উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্প সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সারা দেশে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধে ও পরিবারের ওপর চাপ কমাতে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে ‘উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্প’ চালু হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে গত কয়েক বছর ধরে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। ২০১৭ জুলাই প্রকল্পের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও দ্বিতীয় দফায় আরও দুই বছর এর সময়কাল বাড়ানো হয়।
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এ প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি, বইক্রয়, ফরমপূরণসহ অন্যান্য খরচের জন্য বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ২ হাজার ৮০০ এবং মানবিক, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ২ হাজার ১০০ টাকা হারে উপবৃত্তি দেওয়া হবে। এ বছর মোট ৬ লাখ ২ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির আওতায় আনা হবে। সরকারের তহবিল থেকে এ বাবদ প্রায় ১৬২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয় ধার্য করা হয়েছে। জুন ও ডিসেম্বরে দুটি কিস্তিতে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই এ অর্থ উত্তোলন করতে পারবে। জানা গেছে, তালিকা সংগ্রহে গত ডিসেম্বরে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ কার্যক্রম চলবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে। এছাড়াও বৃত্তি প্রাপ্তরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পাবে। এ জন্য প্রকল্প থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষকে মাসিক ৫০ টাকা দিতে হবে। উপ-প্রকল্প পরিচালক এস এম সাইফুল আলম বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বাবদ অভিভাকদের ব্যয় কমাতে গত কয়েক বছর ধরে উপবৃত্তি চালু রয়েছে। ‘উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের’ মাধ্যমে প্রতি বছর বিপুল শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাচ্ছে। তিনি বলেন, নিয়মিত পড়ালেখা চালিয়ে যেতে শুধু দরিদ্র শিক্ষার্থী নয়, প্রতিবন্ধী, এতিম, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি, নদী ভাঙন কবলিত এবং দুস্থ পরিবারের সন্তানদেরও অগ্রাধিকার দেয়া হয়ে থাকে। একটি সফ্টওয়ারের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য করা হয়। আওতাভুক্ত কলেজ প্রধানদের একটি ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। তার মাধ্যমে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক তালিকা পাঠায়। এরপর যাচাই-বাছাই করে তা চূড়ান্ত করা হয়। তবে অনেক শিক্ষক প্রয়োজনীয় তথ্য হারিয়ে ফেলায় তালিকা সংগ্রহে কিছুটা জটিলতা ও বিড়ম্বনার মধ্যেও পড়তে হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি প্রকল্প পরিচালকের সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ায় প্রকল্পের কাজ কিছুটা স্থবির হয়ে যায়। দ্রুত অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে পরিচালক পদে দায়িত্ব দিলে প্রকল্পের কাজে আরও গতি বাড়বে।
সূত্র জানায়, সারা দেশে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধে ও পরিবারের ওপর চাপ কমাতে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে ‘উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্প’ চালু হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে গত কয়েক বছর ধরে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। ২০১৭ জুলাই প্রকল্পের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও দ্বিতীয় দফায় আরও দুই বছর এর সময়কাল বাড়ানো হয়।
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এ প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি, বইক্রয়, ফরমপূরণসহ অন্যান্য খরচের জন্য বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ২ হাজার ৮০০ এবং মানবিক, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ২ হাজার ১০০ টাকা হারে উপবৃত্তি দেওয়া হবে। এ বছর মোট ৬ লাখ ২ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির আওতায় আনা হবে। সরকারের তহবিল থেকে এ বাবদ প্রায় ১৬২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয় ধার্য করা হয়েছে। জুন ও ডিসেম্বরে দুটি কিস্তিতে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই এ অর্থ উত্তোলন করতে পারবে। জানা গেছে, তালিকা সংগ্রহে গত ডিসেম্বরে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ কার্যক্রম চলবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে। এছাড়াও বৃত্তি প্রাপ্তরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পাবে। এ জন্য প্রকল্প থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষকে মাসিক ৫০ টাকা দিতে হবে। উপ-প্রকল্প পরিচালক এস এম সাইফুল আলম বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বাবদ অভিভাকদের ব্যয় কমাতে গত কয়েক বছর ধরে উপবৃত্তি চালু রয়েছে। ‘উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের’ মাধ্যমে প্রতি বছর বিপুল শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাচ্ছে। তিনি বলেন, নিয়মিত পড়ালেখা চালিয়ে যেতে শুধু দরিদ্র শিক্ষার্থী নয়, প্রতিবন্ধী, এতিম, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি, নদী ভাঙন কবলিত এবং দুস্থ পরিবারের সন্তানদেরও অগ্রাধিকার দেয়া হয়ে থাকে। একটি সফ্টওয়ারের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য করা হয়। আওতাভুক্ত কলেজ প্রধানদের একটি ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। তার মাধ্যমে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক তালিকা পাঠায়। এরপর যাচাই-বাছাই করে তা চূড়ান্ত করা হয়। তবে অনেক শিক্ষক প্রয়োজনীয় তথ্য হারিয়ে ফেলায় তালিকা সংগ্রহে কিছুটা জটিলতা ও বিড়ম্বনার মধ্যেও পড়তে হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি প্রকল্প পরিচালকের সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ায় প্রকল্পের কাজ কিছুটা স্থবির হয়ে যায়। দ্রুত অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে পরিচালক পদে দায়িত্ব দিলে প্রকল্পের কাজে আরও গতি বাড়বে।