বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পছন্দসই উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও গুণগত শিক্ষার বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছিল ভারতের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুদিন করে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৪ ও ২৫ এবং ২৭ ও ২৮ জুলাই। শিক্ষামেলায় অংশ নিয়েছিল ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত প্রতিনিধিরা ভারতে শিক্ষাগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের ভর্তিসংক্রান্ত নানা সুযোগ-সুবিধার কথা জানান।
ঢাকার পান্থপথের বসুন্ধরা সিটিতে শিক্ষামেলার উদ্বোধন করেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (শিক্ষা) জিষ্ণু মুখার্জি। বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থা (সেপ)। সংস্থাটির অন্যতম কর্ণধার সঞ্জয় থাপা জানান, অতীতের মতো ক্যারিয়ার বলতে শিক্ষার্থীরা শুধু চিকিৎসা ও প্রকৌশল পেশাকে বোঝেন না। বর্তমানে বিশেষায়িত শিক্ষাঙ্গনে কর্মক্ষেত্রের নানা দিক উন্মুক্ত হয়েছে। তাই বৈচিত্র্যের দিকে লক্ষ রেখে সেপ পর্যাপ্ত ক্যারিয়ার-সুবিধা হাজির করছে।
ঢাকায় এই মেলা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সামনে প্রচলিত শিক্ষার বাইরেও পেশাগত ও বৃত্তিমূলক কোর্সগুলো বেছে নেওয়ার নানা সুযোগ উপস্থাপন করে। আর তা হলো অ্যাডভারটাইজিং, অ্যানিমেশন, ব্যাংকিং, বায়োটেকনোলজি, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ফ্যাশন ডিজাইনিং, ফিল্ম টেকনোলজি, ফাইন্যান্স, গ্রাফিক ডিজাইনিং, হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল, ইনফরমেশন টেকনোলজি, ইনস্যুরেন্স, ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং, আইন, ব্যবস্থাপনা, গণযোগাযোগ ইত্যাদি।
অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এসব বিষয়ভিত্তিক কোর্সে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ভারতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে। এই মেলায় স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও কারিগরি বিভিন্ন বিষয়ে ভারতে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবৃত্তি, পড়ার খরচ ও ভর্তির তথ্য দেওয়া হয়েছে।