৩৫তম বিসিএস প্রিলির প্রশ্ন দেখলে খেয়াল করবেন, বেশির ভাগ প্রশ্নই এসেছে নবম-দশম শ্রেণির সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে। এ বইটি দাগিয়ে দাগিয়ে পড়ুন।
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন অংশটি তিন-চারটি গাইড বই থেকে পড়ুন। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের ‘নাগরিকদের জানা ভালো’ বইটিও দেখতে পারেন। এ অংশের উত্তর করার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার কমন সেন্স। একেকভাবে ভাবলে একেক রকম উত্তর হয়, এ ধরনের কিছু প্রশ্ন করা হতে পারে এ অংশে। পিএসসি ইচ্ছা করেই এই গেম খেলে, যাতে কেউ সেগুলো উত্তর না করে সে জন্য। লোভে পাপ, পাপে নেগেটিভ মার্কস। তবে অনেক প্রশ্নই থাকে, যার উত্তর একটুখানি মাথা খাটালেই বের করা সম্ভব। এ দুটি বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য ইন্টারনেট হতে পারে দারুণ সহায়ক। সিলেবাসের টপিকসংশ্লিষ্ট অনেক লেখা ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন। গুগলে বিষয়ের নাম লিখে সার্চ করে সেগুলোও পড়ে নিতে পারেন।
অনলাইনে ফ্রি বিসিএস মডেল টেস্ট দিন: অনলাইন বিসিএস মডেল টেস্ট
মডেল টেস্ট শেষ করে সাথে সাথে আপনার ভূল প্রশ্নের উত্তর গুলো দেখুন ও নিজেকে তৈরি করুন।
এখন বিসিএস প্রিলির প্রস্তুতি নিয়ে কিছু কথা বলছি :
* যাঁরা প্রথমবার বিসিএস দিচ্ছেন, তাঁদের বলছি। প্রথমবারে কাজ হয় না-কে বলে এ কথা? আমি প্রথমবারে ক্যাডার হয়েছি। এ রকম অসংখ্য নজির আছে।
* অনেকেই বলবেন, আমার তো অমুক অমুক প্রশ্ন পড়া শেষ! আপনার আগে কেউ পড়া শেষ করলেই যে শেষ হাসিটা তিনিই হাসবেন, এমন কোনো কথা নেই। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখছি, প্রস্তুতি নিতে গিয়ে জানলাম, অনেকের অনেক কিছু পড়া শেষ। 3 Idiots তো দেখেছেন। বন্ধুর খারাপ রেজাল্টে যতটা মন খারাপ হয়, বন্ধুর ভালো রেজাল্টে তার চেয়ে বেশি মেজাজ খারাপ হয়। যখন দেখলাম, আমি অন্যদের তুলনায় বলতে গেলে কিছুই পারি না, তখন আমি দুটি কাজ করলাম। এক. বোঝার চেষ্টা করলাম, ওরা যা পারে, সেটা পারাটা আদৌ দরকার কি না? দুই. ওদের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করা বন্ধ করে গতকালকের আমির সঙ্গে আজকের আমিকে তুলনা করা শুরু করলাম।
* কোচিং কিংবা এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি না করে বাসায় বসে অনেক সময় দিয়ে পড়াশোনা করুন। দিনে অন্তত ১৫-১৬ ঘণ্টা পড়াশোনা করুন। ঘুম, বিশ্রাম আর ঘোরাঘুরি হবে চাকরি পাওয়ার পর।
* গাইড বইয়ের প্রশ্নগুলো যত বেশি সম্ভব, সলভ করে ফেলুন। যত বেশি প্রশ্ন সলভ করবেন, প্রস্তুতি ততই ভালো হবে। মডেল টেস্টের তিন-চারটি বই কিনে প্রতিদিন অন্তত দু-তিনটি মডেল টেস্ট দিন। মডেল টেস্টে একটু কম মার্কস পেলেও মন খারাপ করার দরকার নেই।
* গ্রুপ স্টাডি করা কতটুকু দরকার? এটা আপনার অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। আমার এই অভ্যাস ছিল না।
* মাঝেমধ্যে পড়তে ইচ্ছা করবে না, আমারও করত না। সারাক্ষণ পড়তে ইচ্ছা করাটা মানসিক সুস্থতার লক্ষণ নয়।
* কেউ আপনার চেয়ে ভালো ছাত্র হওয়া মানেই এ নয় যে তিনি প্রিলিমিনারি পাস করবেন, আপনি করবেন না। শেষ হাসিটা হাসার চেষ্টা করুন
সূত্র: কালের কণ্ঠ